গাছের আবার বয়স! অনেকেই হয়তো অবজ্ঞার সুরে বলবেন। তবুও কৌতুহলী মানুষ বয়স আবিষ্কার করে। তেমনি শতবর্ষী এক বটগাছের সন্ধান পাবেন খাগড়াছড়িতে। বটগাছটি এখন ইতিহাসের সাক্ষী এবং দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। চলুন না একবার ঘুরে আসা যাক। শরীর মন জুড়িয়ে যাক শতায়ুবর্ষী বটের ছায়ায়।অবস্থানখাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার খেদাছড়ার কাছাকাছি এলাকায় পাঁচ একরের অধিক জমির উপর এ প্রাচীন বটবৃক্ষের অবস্থান।শতায়ুবর্ষীএ গাছের বয়স নিরূপণের চেষ্টা একেবারেই বৃথা। আনুমানিক শতবর্ষ অতিক্রমের ধারণা পোষণ করেন স্থানীয়রা। তাই একে শতায়ুবর্ষী বলা হয়ে থাকে। বৈশিষ্ট্যবটগাছটি শুধু ইতিহাসের সাক্ষী নয়, দর্শনীয় আশ্চর্যের একটি উপাদানও। গাছটি হাজারো পর্যটকের কাছে দারুণ আকর্ষণীয়। মূল বটগাছটি থেকে নেমে আসা প্রতিটি ঝুড়িমূল কালের পরিক্রমায় এক একটি নতুন বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয়, ঝুড়িমূল থেকে সৃষ্ট প্রতিটি বটগাছ তার মূল গাছের সাথে সন্তানের মতো জড়িয়ে আছে। বটের ছায়ায়গ্রীষ্মের দাবদাহে মানুষ এতটুকু শীতল ছায়ার আশায় এখানে জড়ো হয়। কথিত আছে, এ বটবৃক্ষের নিচে বসে শীতল বাতাস গায়ে লাগালে মানুষও শতবর্ষী হয়। খাগড়াছড়ি কেউ যদি একবার আসেন তাহলে শতায়ুবর্ষী বটগাছ না দেখে ফিরে যান না।এসইউ/পিআর
Advertisement