ক্যারিয়ার সবেমাত্র শুরু করেছিলেন বিশ্বের নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা সার্বিয়ান নোভাক জকোভিচ। তখনই প্রস্তাব পেয়েছিলেন একটি ম্যাচ ছেড়ে দেয়ার জন্য। বিনিময়ে তাকে দেয়া হবে ১লাখ ১০ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমান প্রায় ১৪ লাখ। ক্যারিয়ারের শুরুতেই এক ম্যাচ থেকে এত টাকার প্রস্তাব পেয়ে লোভে পড়ে যাননি জকোভিচ। প্রস্তাবটা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে পেরেছিলেন বলেনই, জকোভিচ, আজকের বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। তার পেছনে এখন বৈধভাবেই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হওয়ার আগমুহুর্তেই বিশ্ব টেনিসে ফিক্সিংয়ের সংবাদে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। নানা জায়গা থেকে নিন্দা ঝড়ও বইতে শুরু করেছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বের সেরা সেরা টেনিস তারকারা। কারও জীবনে এমন কোন অভিজ্ঞতা হয়েছিল কি না, সেটাও তারা জানাচ্ছিলেন। তেমনই একটি ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এতন লুকায়িত থাকা ভয়াবহ তথ্যটা জানিয়ে দিলেন জকোভিচ।তবে, সরাসরি নয়, একটা মাধ্যম থেকে তাকে এ প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বলে জানান জোকার। যদিও এখন ওই অভিযোগ সম্পর্কে কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারবেন না জকোভিচ। কারণ, প্রস্তাবকারীদের চিনে রাখেননি তিনি। শুধু তাই নয়, জকোভিচ এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে, ফিক্সিংয়ের যে অভিযোগ উঠছে এর কোন প্রমাণ আসলে কারও হাতে নেই। এটা গুজবও হতে পারে।তবে বিবিসি এবং বাজফিড নিউজ অনলাইন দাবি করছে, তারা যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এর পেছনে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। সেটা হাতে আসার পরই তারা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তবে, এখনই এই তথ্য-প্রমাণ তারা ফাঁস করতে রাজি নন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক দশকে র্যাংকিংয়ে ৫০ জনের মধ্যে থাকা ১৬জনই ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়েছেন। যদিও এই রিপোর্টের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বিশ্ব টেনিস ফেডারেশন।আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement