দেশজুড়ে

মহেশখালীতে আ’লীগের সম্মেলনে গোলাগুলি, আহত ১০

কক্সবাজারের মহেশখালীতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় দুপক্ষের কথা কাটাকাটির জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

Advertisement

রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ ফোরকান (৪৮), মৃত বজল উদ্দিনের ছেলে আবুল কাসেম (৩২)। আহত বাকিদের নাম জানা যায়নি। তাদের স্থানীয় ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ধলঘাটা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলন উপলক্ষে সুতরিয়া বাজারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য দিতে ওঠেন সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্চু। এ সময় তিনি কিছু নেতাকর্মীর সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। তা নিয়ে উচ্চবাচ্য শুরু হলে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। এর কিছু সময় পর বাচ্চুর লোকজন সিএনজি নিয়ে এসে অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। এতে সভাপতি প্রার্থী ফোরকান ও কর্মী কাসেম গুলিবিদ্ধ হন। তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও সাতজন আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সম্মেলন ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত ছিল। সে সময় সাবেক চেয়ারম্যানের অগ্রহণযোগ্য বক্তব্যের প্রতিবাদ করায় গুলি চালানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আলম ও যুগ্ম সম্পাদক ব্রজ গোপালও উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে গুলি চালিয়েছে বাচ্চুর লোকজন। আমরা বিষয়টি পুলিশ ও দলের শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছি।’

তবে ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করলেও তার লোকজন গুলি চালায়নি বলে দাবি করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্চু। তিনি বলেন, এটি গুজব জড়ানো হচ্ছে। ভুয়া খবর ছড়িয়ে আমাকে থামানোর চেষ্টা চলছে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু বক্করকে ঘটনাস্থল পাঠানো হয়। গুলিবিদ্ধদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

সায়ীদ আলমগীর/এসজে/জেআইএম