ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, এ নিষেধাজ্ঞার নৈতিক ও আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। গত বছরের অক্টোবরে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। যদিও এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পারমাণবিক চুক্তির সব শর্ত সফলভাবে পালন করায় ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের একদিনের মাথায় নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের ১১টি কোম্পানি ও ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং সেবার ক্ষেত্রে নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ ও অর্থনৈতিক ইন্টেলিজেন্সের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাডাম জে জুবিন বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি; এটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় অব্যাহত থাকবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেইন জাবের আনসারি বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির পরিকল্পনা পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের জন্য করা হয়নি। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কোনো নৈতিক ও আইনগত ভিত্তি নেই।তিনি অভিযোগ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছরবিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র তৈরী করে লেবানন, ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনে যুদ্ধাপরাধে ব্যবহার করছে। এর আগে শনিবার ইরানের ওপর থেকে পশ্চিমাদের আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। পরমাণু চুক্তির শর্তাবলী দেশটি পূরণ করেছে বলে জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থার সবুজ সংকেতের পর ইরানের ওপর থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পরমাণু চুক্তির সফল বাস্তবায়নে ইরানের প্রশংসা করেছেন। এসআইএস/আরআইপি
Advertisement