উচ্চশিক্ষার জন্য গন্তব্য নির্বাচন করা খুব সহজ কাজ নয়। এখন প্রশ্ন হতে পারে, কেনো শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্য কেন নির্বাচন করবেন? যেহেতু একজন শিক্ষার্থী টাকা ও সময়ের বিনিয়োগ করবে, সে ক্ষেত্রে তারা কী ধরনের ফলাফল আশা করতে পারেন? এ বিষয়ে আমাদের জানিয়েছেন পিএফইসি গ্লোবালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারিয়া বেগম।
Advertisement
ফারিয়া বেগম জাগো নিউজকে জানান, যুক্তরাজ্য সরকার ৩০ বিলিয়ন পাউন্ড এসটিইএম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাথম্যাটিক্স) সেক্টরে চাকরির জন্য প্রতিশ্রুতিবব্ধ। এরমধ্যে ২ বিলিয়ন পাউন্ড স্কিম তাদের জন্য, যারা নতুন করে চাকরি শুরু করতে যাচ্ছেন। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরও গণনা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যকে উচ্চশিক্ষার জন্য নির্বাচনের অনেক কারণ আছে। প্রথমত যুক্তরাজ্য সব সময়ই বিশ্বে তাদের লার্নিং ও একাডেমিকের জন্য সুপরিচিত।
যুক্তরাজ্যে অনেক প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ৮০০ বছরেরও পুরোনো। এমনকি যুক্তরাজ্য নতুন ও আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। হায়ার এডুকেশন স্ট্যাটিসটিক্স এজেন্সির (হিসা) তথ্যমতে, যুক্তরাজ্য উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের ২য় জনপ্রিয় স্থান। যেখানে ২০১৭-২০১৮ সালে ৪,৫৮,৫২০ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যকে বেছে নিয়েছে।
যুক্তরাজ্য বহু সংস্কৃতিক উদার একটি দেশ। যেখানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশ থেকেই মানুষ পাওয়া যাবে। যে কোনো শিক্ষার্থী এখানে নিঃসন্দেহে সাদর অভ্যর্থনা পাবেন। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন শাখায় বিস্তৃত বিষয় উপস্থাপন করে। যেমন- বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন, মিডিয়া স্টাডিজ, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাথম্যাটিক্স প্রভৃতি। আপনি যে বিষয়েই পড়তে চান ৩ বছরে স্নাতক সম্পন্ন করা যাবে। অন্যদিকে স্নাতকোত্তরের সময়সীমা ১ বছর। অন্যান্য দেশ আমেরিকা ও কানাডার সাথে তুলনা করা হয়। তবে ১ বছরের খরচ সাশ্রয়ী হবে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা।
Advertisement
এ ছাড়াও যুক্তরাজ্য সরকার জিআইআর ঘোষণা করেছে। এটি পোস্ট স্টাডি ওয়ার্কস রাইটস। এর মানে হচ্ছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী যারা স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি সম্পন্ন করবে, তারা লেখাপড়ার বিষয়ের উপর নির্ভর করে ২-৩ বছরের সময় পাবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করার পর ২ বছর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীরা ৩ বছরের জন্য পোস্ট স্টাডি ওয়ার্কস রাইটসের জন্য আবেদন করতে পারবে।
তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সময়মতো তাদের ডিগ্রি শেষ করতে হবে এবং সব কমপ্লায়েন্স এইচইআই ইনস্টিটিউশনের সাথে রক্ষা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের উচিত ইউকেভিআই ওয়েবসাইটের দিকে লক্ষ্য রাখা। এ ছাড়া পিএফইসি গ্লোবাল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অথবা পিএফইসি গ্লোবালের অফিসে যোগাযোগ করা।
‘অনেক শিক্ষার্থী জানতে চান, জিআরআইয়ের জন্য কি কোনো বেতনের পরিসীমা বা স্পন্সরশিপের প্রয়োজন আছে?’ এমন প্রশ্নের জবাবে ফারিয়া বেগম বলেন, ‘জিআরআইয়ের জন্য শিক্ষার্থীকে শুধু তার লেখাপড়া সম্পন্ন করতে হবে। এতে কোনো স্পন্সরশিপ অথবা চাকরির অফার লাগবে না। এ ছাড়া স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি শিক্ষার্থী তার পরিবার নিতে পারে এবং পরিবার ফুল টাইম কাজ করতে পারে। এসব কারণে যুক্তরাজ্য উচ্চশিক্ষার জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে গণ্য হয়।’
সবশেষে ফারিয়া বেগম শিক্ষার্থীদের আগামীকাল ২৫ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘ইউকে অ্যাপলিকেশন আওয়ারে’ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পিএফইসি গ্লোবাল যুক্তরাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জন্য যদি আপনি যুক্তরাজ্যে ভর্তি হতে চান, তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যুক্তরাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কথা বলে শিক্ষার্থীরা সব রকম তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।’
Advertisement
এসইউ/জিকেএস