আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগাম বন্যায় হাওর এলাকার সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের ধান কাটা মেশিন দেওয়ায় ঝুঁকির মধ্যেও ধান কাটতে পারছি। এরই মধ্যে হাওরের ৫০ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে ৫ দিনের মধ্যে হাওরে ধান কাটা শেষ হবে। খাদ্য সংকটের কোনো সুযোগ নেই।
Advertisement
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী কৃষক-দরদী জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষির প্রতি অঘাত ভালোবাসা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা দিয়ে তিনি চাষিদের মেশিন দেওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে হাওরে ধান কাটতে পারছি। আর কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অতিবৃষ্টি না হলে আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে মোটামুটি ধান ঘরে তুলতে পারবো। এটি নিয়ে জাতির মধ্যে একটা আতঙ্ক রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বোরো মৌসুমে আমাদের ধান সর্বোচ্চ প্রায় দুই কোটি টন উৎপাদন হয়। আগে আমন প্রধান ফসল থাকলেও এখন আমন কমে গিয়ে ১ লাখ ৫৮ লাখের মতো উৎপাদন হয়। সেচসহ চাষাবাদের বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ায় বোরো উৎপাদন অনেক বেড়েছে। হাওর এলাকায় ১২/১৩ লাখ টন ধান হয়। আগাম বন্যায় বাঁধ ভেঙে হাওরের সাড়ে সাত হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ইঞ্জিনিয়ার ও কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা খুবই তৎপর ছিল। এছাড়া প্রশাসন অনেক কাজ করেছে। ধান কাটার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছি।
Advertisement
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি সবসময় প্রকৃতি নির্ভর। আমরা ভালো উৎপাদন আশা করছি। ইনশাল্লাহ খাদ্য সংকট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নেত্রকোনায় ৮৬ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। সুনামগঞ্জ হাওরে ১ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। সেখানে শনিবার পর্যন্ত ৭১ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। গড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। সুনামগঞ্জে ৫৭৭ টি ধান কাটার হারভেস্টার মেশিন কাজ করছে। এটি সরকারের বড় অবদান।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন— সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো.জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, তানভরি হাসান ছোট মনির, আহসানুল ইসলাম খান, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী প্রমুখ। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরিফ উর রহমান টগর/এমএএইচ/
Advertisement