রাজনীতি

জোবায়দার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা নেই: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জোবায়দা রহমান এখন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয় দেখাশোনা করছেন। তিনি চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি একান্তই রাজনীতির বাইরে। তার এখন রাজনীতি নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নাই। তার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছাও নাই।

Advertisement

শনিবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘ডাক্তার জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, হার্টের রোগ কীভাবে হবে না, যেসব কাজ করলে হার্টের রোগ হবে না, এটা নিয়ে জোবায়দা গবেষণা করছেন। তার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা নাই। তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। তারা স্বাধীনতার আগে থেকেই সম্পদশালী ও ক্ষমতাবান। ১৯৫৫ সালের পরে তারা ঢাকা বা সিলেটে কোনো জমি কিনেছে এমন রেকর্ড নাই। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা দেওয়া শুধু হয়রানির জন্য। আর কিছু নয়।

শেখ হাসিনার কাছে মামলা দিতে কোনো কারণ লাগে না, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, কথায় আছে আকাশের যত তারা, পুলিশের কাছে তার অনেক বেশি ধারা। তারা নাকি বাতাসের গলাতেও রশি বাঁধতে পারে। তাই তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে।

Advertisement

বিএনপির এই নেতা বলেন, মানুষ টেলিভিশনের পর্দায় দেখে একটা আর তারা বলে আরেকটা। তিনি কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে বলেছিলেন, তিনি নাকি রাজনীতি, ক্ষমতা এসব আর চান না। কিন্তু জনগণ তাকে চায়। ২০১৮ সালে অনেক নেতারাই তাকে বিশ্বাস করেছিল বলে নির্বাচনে গিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, দুর্নীতির পরিমাণ কেমন হলে একটা বালিশের দাম ৭ হাজার টাকা হয়? আমার প্রশ্ন, শেখ হাসিনা কত টাকার বালিশে ঘুমান। আপনার চাইতে তো কেউ দামি বালিশে ঘুমানোর কথা না। তাহলে আপনি কত দামের বালিশে ঘুমান?

২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, একজন অবিশ্বাসী লোককে কেন আমরা বিশ্বাস করলাম। কেন খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে নির্বাচনে গেলাম। ৭ দফা জাহান্নামে যাক। আমাদের একটাই দফা, খালেদা জিয়ার মুক্তি। আমরা কেন সেটা বাস্তবায়ন না করে সংসদে গেলাম?

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

Advertisement

এমআইএস/এমএইচআর/এএসএম