ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নাহিদ ও মুরসালিন নামের দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
Advertisement
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন তাদের দেখতে গিয়েছি তখনই কিছুটা সহযোগিতা করেছি। পরেও তাদের পরিবারের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
সংঘর্ষে যে দুজন নিহত হয়েছেন তাদের কেউই সংঘর্ষে অংশগ্রহণকারী ছিলেন না বলে জানান ডা. দীপু মনি।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘তারা দুজনই যার যার নিজের কাজে ছিল কিন্তু তারা প্রাণ হারিয়েছে। মূলত যে পরিবারের যায় সেই বোঝে কী গেলো! এই যে একেবারেই কম বয়সী দুজন তরুণ প্রাণ হারালো, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে।’
এসময় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তাফাজ্জল হোসেন পাটোয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় নাহিদ (১৮) নামে এক ডেলিভারিম্যান ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওইদিন কামরাঙ্গীরচরে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন নাহিদ।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দোকান কর্মচারী মো. মুরসালিন (২৪)।
Advertisement
নজরুল ইসলাম আতিক/এসআর/এএসএম