সাহিত্য

শাপলা সপর্যিতার প্রেমের কবিতা

স্নানঘরে একাএকা একা স্নানঘরে। আজই ভোরে।তোমার দাঁতে কাটা সুখগুলিফুল হয়ে ওঠে ফোঁটে, আমার গোপনে। যুগলে।উন্মত্ত অধীর ছিলে কি খুব, আড়ালে।আমার দিগন্ত। অসীম খোলাজল। ঘনীভূত একাকী।নিমগ্ন ভালোবাসায় নেমে গেছি। অতল গভীর। ধীর।গন্তব্য সেও নিশ্চিত। কত যে নিশা তখন।আমরা মিথুন। বেদনাহত। দাহ্য প্রেমের গভীর সংরাগেচাঁদ জেগেছিল কত রাত? আমাদের পাশে? তারপর?কিংবা ধবল পূর্ণিমা অথবা অমাবস্যা।উর্বর শস্যভূমিপেয়েছিল এক আদিম কিষাণ। কর্ষণে কর্ষণে জন্মেছিলকত না প্রাণ আবেগে। অঞ্জলি ভরে লয়েছিল নিজেরই আত্মার ঘ্রাণএক অধরা মাধুরি। মধুরিমা লয়ে আমি উড়ে গেছি।ঠোঁটে চিবুকে কপালে। অসীমে। নিয়ে তোমার দাঁতে কাটা প্রেমগুলিআরক্ত যাতনাবিধুর। তবু এই যাতনারে ভালোবাসি বলেভুল করে বুঝি তোমারেই ভালোবাসি বারে বারে। যতনে।আদ্যোপান্তের গালগল্পআলো নেই জল অন্ধকারজলে আকাশের ছায়া নেই তাল বন্ধ তারতাল তরঙ্গহীন রাত নির্মম ঝিমরিমঝিম বৃষ্টিহীন ধূসর পাহাড়ঝর্না নেই পাহাড় অবিরল সুরাখ।রং নেই, প্রজাপতি ডানা মেলেছে তারমাছি কি পেয়েছে মৌ, ফুলের সুবাস!বাতাসে ছন্দ কি তুলেছে গোলাপ!আকাশেরে জীবন দেবে কি গো চাঁদ!জোৎস্নার শব ঘিরে রয়েছে বাতাস!পিপীলিকা ক্লান্তিহীন খুঁজে চলেছেদিনের স্মৃতি। কাটা পাতা।জলে যে আগুন জ্বলে, জানো সখা?জানো কি তার যাতনার কথা!যাতনার সখা যায় কি পাওয়া জীবনের দামে?সখা যদি কোনোদিন বেদনারে ভালোবাসে!! বেদনা।যাতনা নিশিদিন শুধু কেন আমারেই বেঁধে রাখে।কেবলই পোড়ায় একাকী দারুণ দহনে।।নীরবতাকাঁটাগুলো কোনো একদিন বেজে উঠবে।এই ভেবে ফুল থেকে সরে আসি।ভুল হয়ে যায় যদি কোনো। দারুণ ভালোবাসাবাসি!আঁধারে রুদ্র বুনে যাই। বেদনার ক্ষতগুলো কত যে ফুলহয়ে ফোঁটে। গোপনে বিষাদে। হর্ষে মিলাই তারেজানো কি কত যে করুণ বিনাশে!ঐ হাসিটুকু থাক। বরং ফুল হয়ে ভরা থাক সুধা।কাটায় কান্নায় ক্ষরণে দহনে দেখা নাই হলো।ও ফুল তুমি ফুটে থাকোএকা একা নীরব প্রহরে......এইচআর/এমএস

Advertisement