প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু তাকে বেশি দূর যেতে দেননি সাকিব আল হাসান। নিজের প্রথম ওভারেই তামিমকে ফেরান তিনি। সাকিবের মতো প্রথম ওভারে আঘাত হানেন মাশরাফি বিন মর্তুজাও, ফেরান মুমিনুল হককে।
Advertisement
দলের বাকিদের ব্যর্থতার ভিড়ে একাই লড়েছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ডানহাতি ওপেনার এনামুল হক। তবু তা দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেনি। বৃষ্টিতে ৩৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ১৫২ রানে গুটিয়ে গেছে প্রাইম ব্যাংক।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ভেজা আউটফিল্ড ও পিচে কারণে দুই দলের ইনিংস থেকে ১৭ ওভার করে কমিয়ে ৩৩ ওভার করে শুরু করা হয়েছিল ম্যাচ। যেখানে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা উড়ন্তই ছিল প্রাইম ব্যাংকের। দুই ওভারে ২২ রান তুলে ফেলেন তামিম ও বিজয়।
নাবিল সামাদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান বিজয়। আলআমিন হোসেনের করা পরের ওভারে হাঁকান জোড়া বাউন্ডারি। একই ওভারের চতুর্থ বলে প্রথমবারের মতো স্ট্রাইক পেয়েই ফ্লিক করে স্কয়ার লেগে ছক্কা মারেন তামিম।
Advertisement
চতুর্থ ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে আনা হয় সাকিবকে। ওভারের দ্বিতীয় বলটি ছিল খাটো লেন্থের। সজোরে ব্যাট চালান ৮ রান করা তামিম। কিন্তু ধরা পড়ে যান শর্ট মিড উইকেটে। বেশ খানিকটা নিচু হয়ে দারুণ ক্যাচ নেন তানভির হায়দার।
পরের ওভারে শাহাদাত হোসেন দীপুকে ফেরান নাবিল সামাদ। তৃতীয় উইকেটে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার মিশনে ছিলেন মুমিনুল হক ও বিজয়। কিন্তু ১২তম ওভারে আক্রমণে এসেই মুমিনুলকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। মুমিনুল করেন ১৬ বলে ১৩ রান।
এর মাঝে ব্যক্তিগত ১০ রান নেওয়ার সময় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ফেলেন বিজয়। চলতি আসরের উড়ন্ত ফর্ম ধরে রেখে ফিফটি হাঁকান তিনি। বিজয়ের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে হাল ধরেন ইয়াসির আলি রাব্বি। এ দুজনের জুটিতে আসে ৬৭ রান।
ইনিংসের ২৯তম ওভারে আউট হন বিজয়। তার ব্যাট থেকে আসে ৯১ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে ৭৩ রানের ইনিংস। পরের ওভারে চিরাগ জানির বলে বোল্ড হন ৩৭ বলে দুই ছয়ের মারে ৩৯ রান করা ইয়াসির রাব্বি। এ দুজনের কল্যাণেই মূলত দেড়শ ছাড়িয়েছে প্রাইম ব্যাংক।
Advertisement
লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও চিরাগ। সাকিব নিজের কোটার সাত ওভারে এক মেইডেনসহ মাত্র ১৯ রান খরচ করেছেন, নিয়েছেন তামিম ইকবাল ও নাসির হোসেনের উইকেট।
এসএএস/এএসএম