রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী মো. নাহিদ মিয়ার (১৮) মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
Advertisement
বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন।
সংঘর্ষ চলাকালে আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নাহিদের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল মর্গ সূত্র জানিয়েছে।
নাহিদের বাবা নাদিম মিয়া জাগো নিউজকে জানান, কামরাঙ্গীরচরের মধ্য রসুলপুরে কালিয়া দেওয়ান বাড়ির নিজ বাসায় মরদেহের জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। তিন ছেলের মধ্যে নাহিদ ছিলেন সবার বড়। নাহিদের স্ত্রীর নাম ডালিয়া আক্তার।
Advertisement
‘একসঙ্গে ইফতার করার কথা ছিল, আমার ছেলেকে আমি ইফতার করাতে পারলাম না’- চোখের জল মুছতে মুছতে বারবার এ কথাগুলোই বলছিলেন সন্তান হারানো নাদিম মিয়া।
নিউমার্কেট থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াসিন কবির জাগো নিউজকে জানান, মিরপুর রোডের নুরজাহান মার্কেটের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা নাহিদকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদের মৃত্যু হয়। তিনি রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকার ডি-লিংক একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মঙ্গলবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নিউমার্কেটে শিক্ষক-ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের শিকার হন তিনি।
Advertisement
কাজী আল-আমিন/এমকেআর/এমএস