দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আবারও দল-মত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য গড়ার ডাক দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Advertisement
তিনি বলেছেন, আজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বর্তমান সরকারের স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা রুখে দেওয়া। ফ্যাসিবাদ রুখে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা। আর এজন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে গণফোরাম আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলন’ শীর্ষক আলোচনায় মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি, আমাদের সবার দায়িত্ব একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে দেশকে বর্তমান ফ্যাসিবাদের হাত থেকে রক্ষা করা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং নিরপেক্ষ সরকারের মধ্য দিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট গঠন করা। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করি।
Advertisement
ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় ২০ দলীয় জোটের নেতারাসহ আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (নুরুল আম্বিয়া), নাগরিক ঐক্য, বিকল্পধারাসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা।
সভায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, কোনো গোজামিল নয়- জনগণ পরিষ্কারভাবে জানতে চায়, আমরা কী করতে চাই, কিভাবে করতে চাই তা পরিষ্কারভাবে বলতে হবে। আসলে আমরা মাঠে নামলে জনগণ মাঠে নামবে।
তিনি বলেন, এ সরকারকে রেখে দেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। জাতীয় সমস্যাকে দলীয়ভাবে চিন্তা করলে সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে না। জাতীয় সমস্যা জাতীয়ভাবে সমাধানের জন্য জাতীয় সরকার দরকার।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র ও সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। অতত্রব, যারা জাতীয় সরকারে বিশ্বাস করে তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের পতনে আন্দোলন শুরু করতে হবে। জনগণ মাঠে নামলে সরকার এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
Advertisement
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়া, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, পিপলস পার্টির বাবুল সরদার চাখারীসহ গণফোরাম নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এমআইএস/এমকেআর/এমএস