ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় ৷ ঢাকা কলেজের চিকিৎসক, ঢাকা কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো.আব্দুল কুদ্দুস সিকদার।
রোভার স্কাউট গ্রুপের সদস্য তারেক আজিজ বলেন, আমাদের এখানে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় অন্তত ৫০ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোভার স্কাউট গ্রুপের আরেক সদস্য বেলাল হোসাইন বলেন, আহতদের অধিকাংশই ইটের আঘাতে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে যাওয়া, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলের আঘাত, মাথা ফাটা, হাত-পা ভাঙা ছিল।
Advertisement
সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। মধ্যরাতে দুপক্ষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এরপর মঙ্গলবার সকালে দ্বিতীয় দফায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধের পর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত নীলক্ষেত মোড়-সায়েন্সল্যাব এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পর ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেটসহ আশপাশ এলাকা ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দফায় দফায় সংঘর্ষের মধ্যেই সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
এদিকে চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে এক অনুষ্ঠান থেকে একদিন আগেই ঢাকা কলেজে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর আগে দুপুরে ঢাকা কলেজের আবাসিক হল আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে বিকেলের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর কিছুক্ষণ পরই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন। আবাসিক হল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। একই সঙ্গে অধ্যক্ষের অপসারণসহ ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনার বিচার দাবিতে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
টিটি/এসএম/আরএসএম/এএএম/আল সাদী ভূঁইয়া/কেএসআর/এএসএম