রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম মেজর পরিচয়ে জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে বিকেলে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুদক সচিব মাহবুব হোসেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে জাল এনআইডি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয়ে এনআরবি ব্যাংক থেকে নিয়ে তা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, এনআরবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে সাহেদ যে জাতীয় পরিচয়পত্রটি দেন, তা যাচাই-বাছাই করে জাল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে এই পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে অনুসন্ধান করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
Advertisement
দুদক সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন তার নাম অন্যান্য তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান করে আরও দুটি এনআইডি নম্বর পাওয়া গেছে। যার একটি লক করা ও অন্যটি ডুপ্লিকেট হিসেবে কর্তন করা অবস্থায় রয়েছে।
এনআরবি ব্যাংক থেকে হাসপাতালের নামে ঋণবাবদ দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২২ জুলাই মামলা করে দুদক।
এদিকে করোনা মহামারির মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণা আর জালিয়াতির মামলায় ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এসএম/বিএ/এএসএম
Advertisement