রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৪টার পর থেকেই নিউমার্কেটসহ আশপাশ এলাকায় এ সেবা বন্ধ হতে দেখা গেছে।
Advertisement
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোবাইল কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তা জাগো নিউজ জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই এলাকার ইন্টারনেটের সেবা বন্ধ রয়েছে। অবস্থার আরও অবনতি যেন না হয় এজন্যই এ ব্যবস্থা।
নিউমার্কেট এলাকায় দায়িত্বরত জাগো নিউজের একাধিক সাংবাদিক জানিয়েছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বিকেল সোয়া ৪টার পর থেকেই তারা ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন না।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। মধ্যরাতে দুপক্ষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
Advertisement
এরপর মঙ্গলবার সকালে দ্বিতীয় দফায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধের পর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড়-সায়েন্সল্যাব এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেটসহ আশপাশ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে একদিন আগেই ঢাকা কলেজে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংঘর্ষের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা প্রায়ই দেখি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও আশপাশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নানান বিষয়ে নানান রকম বাগবিতণ্ডা হয়। সেই বাগবিতণ্ডা অনেক সময় সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষে যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার বিষয়গুলো আমরা দেখছি।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কলেজের আবাসিক হল আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে বিকেলের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর কিছুক্ষণ পরই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন। আবাসিক হল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। একইসঙ্গে অধ্যক্ষের অপসারণসহ ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনার বিচার দাবিতে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
এইচএস/এমকেআর/এএসএম