ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মের সময় তার বাবা বাড়িতে ছিলেন না। তিনি পাশের গ্রামের হাটে গিয়েছিলেন। ছেলেকে এই সুসংবাদ জানাতে উৎফুল্ল হয়ে তার ঠাকুরদা ছুটলেন হাটের দিকে।
Advertisement
পথিমধ্যে ছেলের সাক্ষাৎ পেয়ে বললেন, আমাদের একটি এড়ে বাছুর হয়েছে। সে সময় বাড়িতে একটি গরু ছিল; তারও দুই একদিনের মধ্যে প্রসবের সম্ভাবনা ছিল বিধায় বিদ্যাসাগরের বাবা সে কথা বিশ্বাস করে বাড়িতে ঢুকেই গোয়াল ঘরের দিকে চললেন।
তখন বিদ্যাসাগরের দাদি ছেলেকে থামিয়ে রহস্যের হাসি দিয়ে বলেন ওদিকে নয়, এদিকে এসো। আমি তোমাকে এড়ে বাছুর দেখিয়ে দিচ্ছি বলে সূতিকাগৃহে নিয়ে গিয়ে সদ্য জন্ম নেওয়া ঈশ্বরচন্দ্রকে দেখিয়ে দিলেন।
পিতামহদেব পরিহাস করিয়া আমায় এড়ে বাছুর বলিয়াছিলেন। তিনি সাক্ষাৎ ঋষি ছিলেন। তাহার পরিহাস বাক্যও বিফল হইবার নহে। আমি যে ক্রমেই এড়ে গরু অপেক্ষাও একগুয়ে হইয়া উঠিতেছিলাম তাহা বাল্যকাল হইতেই আমার আচরণে বিলক্ষণ আবির্ভূত হইত।
Advertisement
লেখা: সংগৃহীতছবি: সংগৃহীত
প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।
কেএসকে/জেআইএম
Advertisement