ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের কারণে শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। রোজা রেখে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে ফিরছেন সাধারণ মানুষ। মিরপুর, ফার্মগেট, এলিফ্যান্ট রোড- সর্বত্র যানবাহন চলাচলে স্থবিরতা দেখা গেছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই রাজধানীজুড়ে এই অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মিরপুরের বাসিন্দা আরিফ জাগো নিউজকে বলেন, মিরপুর দারুস সালাম থেকে এলিফ্যান্ট রোড পর্যন্ত হেঁটেই এসেছি। প্রায় দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে হাঁটা শুরু করেছি। একই জায়গায় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।
একাধিক পথচারী জাগো নিউজকে একই কথা বলেন। রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে না পারায় পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
Advertisement
রিপন নামে এক পথচারী বলেন, রোজা রেখে মানুষ এমনিতেও সারাদিন না খেয়ে, তারওপর তপ্ত রোদে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফেরা। বাসে যারা বসে আছেন, গরমে তাদের অবস্থাও খারাপ।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যায়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের গেটে এবং ব্যবসায়ীরা চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়।
Advertisement
ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি চলছে উভয়পক্ষের মধ্যে। উভয়পক্ষই ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে অনেকেই হেলমেট পড়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সোমবার রাতে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দিনগত রাত ১২টার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। মধ্যরাতে দুই পক্ষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
টিটি/আরএসএম/এএএম/আল সাদী ভূঁইয়া/নাহিদ হাসান/এএএম/ইএ/জেআইএম