মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন দোকানের কর্মীদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এর আগে সোমবার দিনগত রাতে দুই পক্ষের মাঝে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের ৩০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
Advertisement
ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল থেকে এ পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে৷
অন্যদিকে ব্যবসায়ী পক্ষের ১০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে দাবি তাদের।
এছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে দুজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন দীপ্ত টিভির প্রতিবেদক আসিফ সুমিত এবং এসএ টিভির ক্যামেরা পারসন কবির হোসেন।
Advertisement
ঘটনাস্থল থেকে জাগো নিউজের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সাংবাদিক ও ক্যামেরা পারসনদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে উভয় পক্ষই।
দোকানের কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, দোকানের সামনে লাগানো সিসি ক্যামেরা, লাইট ও দোকানপাট ভাঙচুর করছেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া সিটি করপোরেশনের ময়লা তোলার ভ্যান দিয়ে ইট, পাথর, সুরকি নিয়ে আসতে দেখা গেছে দোকান কর্মীদের মাঝে কয়েকজনকে।
এর আগে সকাল ১০টার পর থেকে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধের পর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরনের আওয়াজও পাওয়া গেছে।
Advertisement
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বেলা ১১টার পর থেকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের গেটে এবং ব্যবসায়ীরা চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে রাতের সংঘর্ষের জেরে সকাল থেকেই সায়েন্সল্যাব থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর ফলে সায়েন্সল্যাব, আজিমপুর ও মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অবরোধের এক পর্যায়ে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।টিটি/আরএসএম/এএএম/আল সাদী ভূঁইয়া/নাহিদ হাসান/এমএইচআর/জেআইএম