নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের বিরোধ দীর্ঘদিনের। তাদের এ বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের কথা সারা দেশবাসীরও অজানা নয়। তাদের খুব কম সময়ই এক টেবিলে বসতে দেখা যায়।
Advertisement
তবে সোমবার (১৮ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনসে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে আইভী ও শামীম ওসমান এক টেবিলে বসেছিলেন। ইফতারও করেছেন একই সঙ্গে। কিন্তু এক টেবিলে বসলেও তাদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। দুজনই দুজনের মতো করে ইফতার করে চলে গেছেন।
স্থানীয় রাজনীতিবিদরা জানান, ১৯৭৩ সাল থেকে আইভীর বাবা পৌর পিতা আলী আহম্মেদ চুনকা ও শামীম ওসমানের বাবা সামসুজ্জোহা থেকে বিরোধ শুরু। বর্তমানেও সেই বিরোধিতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তাদের সন্তানরা।
আইভী ও শামীমের বিরোধ মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে অনেকবারই চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সময়ই তারা সফল হতে পারেনি। কিছুদিন নীরব থাকলেও ফের তারা সেই বিরোধপূর্ণ অবস্থানে চলে যান।
Advertisement
ইফতার মাহফিলে আইভী ও শামীমের সঙ্গে একই টেবিলে আরও ছিলেন বস্ত্র এবং পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মাহাবুব হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, তারাবো পৌরসভার মেয়র মন্ত্রীপত্নী হাছিনা গাজী, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রমুখ।
আইভী ও শামীমের একই টেবিলে বসা এবং কথা না বলার বিষয়ে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২০১১ সালে প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইভীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন শামীম ওসমান। এরপর থেকে তাদের বিরোধ আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়। ২০১৩ সালে চাঞ্চল্যকর ত্বকী হত্যায় এ বিরোধ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে প্রকাশ্যেই আইভীর মনোনয়ন বিরোধিতা করে মাঠে নামেন শামীম ওসমান। এ নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন আইভী। সর্বশেষ ২০২২ সালের নির্বাচনেও আইভী জয়ী হন।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসজে/জেআইএম
Advertisement