দুই বাবুর্চির বিয়ে। কিন্তু এ নিয়ে সকল আয়োজনই ছিল ষোলআনা। বিয়েতে ছুটে আসেন স্থানীয় এমপি থেকে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন। কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের নওয়াব হোচ্ছাম হায়দার ছাত্রীনিবাসের দুই বাবুর্চির বর্ণাঢ্য আয়োজনের ওই বিয়ে নিয়ে রোববার দিনভর আলোচনা ছিল নগরজুড়ে। এ বিয়ে উপলক্ষে উৎসবমুখর বিভিন্ন আয়োজনে কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রীরা আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠে। গান-বাজনা ও হোস্টেলের ছাত্রীদের নৃত্য পরিবেশনাসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। জানা যায়, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের নওয়াব হোচ্ছাম হায়দার ছাত্রীনিবাসের হেড বাবুর্চি জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের পোমকারা গ্রামের মো. আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. আল-আমিনের (৩০) সঙ্গে একই কলেজের সহকারী বাবুর্চি ওই উপজেলার শিদলাই গ্রামের রেনু মিয়ার মেয়ে আছমা আক্তারের (২১) বিয়ে হয়। রোববার দুপুরে কলেজের মাঠে ওই কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রীদের আয়োজনে জাকজমকপূর্ণভাবে এ বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। দেড় লাখ টাকা দেনমোহরে ওই বিয়েতে উকিল হয়েছেন কলেজের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও হোস্টেল সুপার আজহারুল হক। এ বিয়ে অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নবদম্পতির হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন এবং বিয়ে অনুষ্ঠানের সার্বিক খরচ বহন করেন। তারা নববধূকে কানের দুল ও স্বর্ণালংকার উপটৌকন হিসেবে প্রদানসহ শাড়ি ও বিভিন্ন সাজসজ্জার মালামাল প্রদান করেন। এ বিয়ে উপলক্ষে শনিবার রাতে কলেজের মাঠে বর-কনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে শিক্ষক-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে গান-বাজনা ও নৃত্য পরিবেশনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন সকলে। বিয়ে অনুষ্ঠানে সদর আসনের এমপি হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার, তার বড় বোন বেগম ফাতেমা, কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম আব্দুল ওহাব, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দা বিলকিস আরা বেগম, হোস্টেল সুপার মো. আজহারুল হকসহ নগরীর বিশিষ্টজনেরা অংশগ্রহণ করে বিয়ে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানটি নগরীর শিক্ষাঙ্গণসহ বিভিন্ন মহলে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম আব্দুল ওহাব জানান, এ বিয়ে অনুষ্ঠান শীতের ছুটিতে হওয়ার কথা ছিল। ছাত্রীদের অনুরোধ রক্ষা করতেই কলেজ খোলার দিন অনুষ্ঠান করতে হয়েছে। সকলের অংশগ্রহণে এ বিয়ের অনুষ্ঠান এক অপূর্ব আনন্দ-উৎসবের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। কামাল উদ্দিন/ এমএএস/পিআর
Advertisement