খেলাধুলায় প্রায়ই বলা হয়, ভিন্ন দুই প্রজন্মের মধ্যে তুলনা চলে না। তাই বলে যে, প্রজন্মভেদে তুলনা থেমে থাকে তা কিন্তু নয়। প্রায়ই আলোচনায় উঠে আসে, স্যার ডন ব্র্যাডম্যান যদি এখন খেলতেন কত রান করতেন? কিংবা টি-টোয়েন্টির এ যুগে স্যার ভিভ রিচার্ডসের ব্যাটিং কেমন হতো?
Advertisement
এবার তেমনই এক ভিন্ন প্রজন্মের আলোচনার অবতারণা ঘটালেন পাকিস্তানের গতিতারকা শোয়েব আখতার। তিনি এখনও খেললে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি এতো রান করতে পারতেন বলেই মন্তব্য করেছেন শোয়েব।
শোয়েব-কোহলির এ তুলনা ঠিক ভিন্ন প্রজন্ম বলা যায় না। কেননা একসঙ্গে বেশ কয়েক বছর খেলেছেন। কিন্তু একে অপরের মুখোমুখি হননি কখনও। ২০১০ সালের এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে শোয়েবের মুখোমুখি হতে পারতেন কোহলি।
কিন্তু সেদিন শোয়েব আক্রমণে আসার আগেই সাজঘরে ফিরে যান ভারতের অন্যতম সফল এ অধিনায়ক। পরে সেই ম্যাচ স্মৃতিচারণ করে শোয়েবের প্রতি নিজের শ্রদ্ধা ও একপ্রকার ভয়ের কথাও বলেছেন তিনি। যা উঠে আসে ২০১৭ সালের এক সাক্ষাৎকারে।
Advertisement
সেদিন কোহলি বলেছিলেন, ‘আমি কখনও শোয়েব আখতারকে দেখিনি। শ্রীলঙ্কায় একটি ম্যাচে তাকে কাছ থেকে দেখেছি। আমি আউট হয়ে যাওয়ায় তার বল খেলতে হয়নি। ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়েও সেদিন তাকে বিধ্বংসী মনে হচ্ছিল। আমার মনে হয় তার সেরা সময়ে ব্যাটাররা তার মুখোমুখি হতে চাইতো না।’
প্রায় পাঁচ বছর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শোয়েবকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। তখন তিনি জানান, এখনও খেলে গেলে এতো এতো রান করতে পারতেন না কোহলি। তবে এরপরও যা রান করতেন সেগুলো হতো অমূল্য।
শোয়েব বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি খুব ভালো মানুষ এবং অনেক বড় ক্রিকেটার। একজন বড় ক্রিকেটারের কাছেই আপনি এমন কথা আশা করবেন। আমি তাকে এজন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই। তবে আমি যদি কোহলির বিপক্ষে খেলতাম, সে কখনও এতো রান করতে পারতো না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে সে যে রানগুলো করতো সেগুলো হতো অসাধারণ এবং কষ্টার্জিত রান। তার হয়তো ৫০ সেঞ্চুরিও হতো না। তবে ২০-২৫টিই হতো অমূল্য সেঞ্চুরি। আমি বিরাট কোহলিকে দেখে নিতাম নিশ্চিত।’
Advertisement
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪৫৮ ম্যাচ খেলে ৭০ সেঞ্চুরি ও ১২২ হাফসেঞ্চুরিতে ২৩৬৫০ রান করেছেন কোহলি। বিশ্ব ক্রিকেটে সবমিলিয়ে সপ্তম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। এছাড়া তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি রয়েছে শুধুমাত্র শচিন টেন্ডুলকার (১০০) ও রিকি পন্টিংয়ের (৭১)।
এসএএস/এএসএম