শেকৃবিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)।

রোববার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার কক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আইকিউএসিয়ের অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মীর্জা হাসানুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসিয়ের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান খাঁন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনীতি শুরু করেছিলেন সাধারণ নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। তিনি সারাজীবন সাধারণ মানুষের জন্য আন্দোলন করে গেছেন। তিনি শুধু রাজনীতি করতেন না, এদেশের মানুষের কথা ও মাটির কথা বলতেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য দেশকে একদিনে প্রস্তুত করেন নি, তা ছিল বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল। যে বাঙালি মানুষের আদেশ পালনের জন্য ব্যস্ত থাকতো তাদের তিনি বিদ্রোহী করে তুলেছিলেন ও স্বাধিকার আন্দোলনের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস, এএসভিএম অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. লাম-ইয়া আসাদ, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কসের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, আইসিসির পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন, বহিরাঙ্গন কার্যক্রম বিভাগের পরিচালক ড. শরমিন চৌধুরী, প্রক্টর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ, রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, সিনিয়র শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য নেতারা।

এর আগে সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্ত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর প্রশাসনিক ভবনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত হয়।

মোঃ রাকিব খান/একেআর/জিকেএস