জোকস

শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের মজার ঘটনা

বাংলা সাহিত্যের এক রসিক লেখক দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র। হাস্যরস ছিল তার জীবনজয়ের মন্ত্র। অসম্ভব চরিত্রের দৃঢ়তা, অনমনীয় মানসিক শক্তি, কঠোর কর্তব্যপরায়নতা। দাদাঠাকুর ছিলেন স্বভাব কবি এবং তীক্ষ্ণধী, সমাজ সচেতন লেখক।

Advertisement

দাদাঠাকুর ছিলেন ‘একাই একশো’- তিনি ‘জঙ্গিপুর সংবাদ’-এর কম্পো্জিটার, প্রুফ-রিডার, মুদ্রক, প্রকাশক, সম্পাদক এমনকি বিক্রেতাও ছিলেন। দাদাঠাকুর ছিলেন সাংবাদিক, সম্পাদক, সর্বোপরি কবি। দাদাঠাকুরই ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সুযোগ্য উত্তরসূরি এবং শেষ কবিয়াল।

দাদাঠাকুরের নিজের একটি প্রেস ছিল। যা তিনি ২২ বছর বসয়ে মাত্র ৪৬ টাকায় কিনেছিলেন। তবে সেটি ছিল বেশ পুরোনো। দাদাঠাকুর সেই প্রেসের নাম দেন পণ্ডিত প্রেস।

তার প্রেসে এক কম্পোজিটর ছিল। সে ছিল বড্ড হাবাগোবা। ‘ফ’ উচ্চারণ করতে পারত না। যতবারই তাকে ‘ফ’ বলানোর চেষ্টা করেন দাদাঠাকুর, ততবারই সে বলত, ‘প’। একসময় ওই কম্পোজিটরই বিরক্ত হয়ে বলেছিল, আমাকে দিয়ে হবে না।

Advertisement

দাদাঠাকুর বললেন, হতেই হবে। আর দাদাঠাকুর যখন বলেছেন হতেই হবে, তখন তাকে ‘ফ’ না শিখিয়ে যাবেন না। যেভাবেই হোক ‘ফ’ উচ্চারণ তাকে শেখাবেনই। শুরু হলো অদ্ভুত শিক্ষা। কী শিক্ষা?

দাদাঠাকুর একটা মোমবাতি কিনে আনলেন। মোমবাতি জ্বালালেন। ছেলেটিকে বললেন, ফু দিয়ে নেভাও। এবার কিন্তু ‘ফু’ দিয়েই নেভাতে হলো মোমবাতি। ‘পু’ করে তো আর নেভানো যাবে না।

দাদাঠাকুর বারবার মোমবাতি জ্বালেন, আর ছেলেটি বারবার ‘ফু’ দিয়েই নেভাল। অনেক বার। তারপর একসময় এমনিতেই ফু করতে বললেন। ছেলেটি মুখ দিয়ে ফু করল। তারপর ফু থেকে ফ-তে আসতে আর বেশি সময় লাগেনি ছেলেটির।

লেখা: সংগৃহীতছবি: সংগৃহীত

Advertisement

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।

কেএসকে/এএসএম