সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আলোকে জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশলের (এনএসএসএস) মেয়াদকাল কমিয়ে এর বাস্তবায়ন দ্রুত করতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ। একই সঙ্গে খাদ্য অধিকার বাস্তবায়ন অবিলম্বে আইনি কাঠামো প্রণয়ণের উদ্যোগ গ্রহণেরও দাবি জানায় সংগঠনটি। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি ও জাতীয় সমাজিক সুরক্ষা কৌশল (এনএসএসএস): খাদ্য অধিকার প্রেক্ষিত’ আয়োজিত এক সেমিনারে আলোচকদের আলোচনায় এ সুপারিশগুলো উঠে আসে। বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র হিসাবে পর্যাপ্ত খাদ্যের যোগানের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে মোকাবিলার দায়বদ্ধতা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেই দেশের রয়েছে। সেক্ষত্রে খাদ্য অধিকার বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবন মানের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে না।তারা আরো বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি’এবং তা বাস্তবায়নে ‘জাতীয় সামাজিক সুরাক্ষা কৌশল’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের দেশের সব মানুষের বিশেষ করে অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি এবং বাস্তবায়নে জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশল’ কী ভূমিকা পালন করতে পারে, তা পর্যালোচনা করে এখন থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলেও জানান বক্তারা। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদের সভাপত্বিতে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ ও সংগঠনের সম্পাদক মহসিন আলী প্রমুখ। উল্লেখ্য, বৃহদাকারের ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি’র অন্যতম লক্ষ্য খাদ্য নিরাপত্তা। সম্প্রতি সরকারের উদ্যোগে ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি’র যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশল (এনএসএসএস) প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘দক্ষিণ এশিয়া খাদ্য অধিকার সম্মেলন’কে কেন্দ্র করে খাদ্য অধিকার ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মরত সংগঠন, নেটওয়ার্ক ও ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে সংগঠিত হয় ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’। ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, সব মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের অধিকার ও পুষ্টি নিরাপত্তা।এএস/জেডএইচ/আরআইপি
Advertisement