জোকস

সপ্তাহের রসালাপ: গোপালের সূক্ষ্ম বিচার

লোক পরম্পরায় গোপালের সূক্ষ্ম বিচার বুদ্ধি দেখে এক প্রতিবেশী তার মোকদ্দমা চালানোর জন্য গোপালকে অনুরোধ করলো। কিন্তু গোপাল মোকদ্দমার কাহিনি শুনে বারবার না করা সত্ত্বেও প্রতিবেশী লোকটি নাছোড়বান্দা হওয়ায় বাধ্য হয়ে গোপাল প্রতিবেশীর মোকদ্দমাটি হাতে নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই মামলার হার হয়।

Advertisement

ভদ্রলোক কাঁদতে কাঁদতে বললে এ কি করলেন, আমার সব গেল। তখন গোপাল বললো, দেখুন ব্যারাম সেরে উঠতে উঠতেও লোক অনেক সময়ে হার্টফেল করে মারা যায়। তাকে ব্যারাম-মরা বলা যেতে পারে না। আপনার ব্যাপারটও ঠিক সেই রকম। মামলার বিচারে আপনি হারেন নি। হাকিমেরা মূলত তিনটি বিষয়ের উপর বিবেচনা করে রায় দেয়- তিনটি বিষয় হলো অনুমান, প্রমাণ এবং স্বীকারোক্তি।

অনুমানটাও আপনার স্বপক্ষে ছিল, অর্থাৎ যে কেউ মামলার বিবরণ শুনলে বলতে বাধ্য ছিল যে বিবাদী দোষী। হাকিমও নিশ্চয়ই তাই ভেবেছেন। কিন্তু অনুমানের উপর নির্ভর করে তো আর রায় দেওয়া চলে না।

দ্বিতীয়ত হলো প্রমাণ। প্রমাণ করা এত শক্ত যে, ওর ভেতরে শেষ পর্যন্ত গলদ থেকেই যায়। আমি আপনার মামলা প্রমাণ করে ছেড়েছি, এ কথা যাকে জিজ্ঞাসা করবেন সেই বলবে, কিন্তু ঐ যে বললাম-গলদ রয়ে গেছে গোড়ায়। থাকতেই হবে গলদ! বিপক্ষের উকিল আমাদের সব অকাট্য প্রমাণগুলো মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

Advertisement

তৃতীয়ত বাকি রইল স্বীকারোক্তি। আসামী লোকটা যদি ভদ্রতা করে দোষ স্বীকার করে যেতো, তাহলে আর কোনো কিছুতেই আটকাতো না আমাদের। কিন্তু তা সে কোনোমতেই করলে না কি না! তাতে আমি আর কী করতে পারি বলুন। মামলা জেতার আগেই তো হার হলো।

ব্যায়রাম থেকে সেরে উঠতে উঠতে হার্টফেল। এতে বলুন আমার কি দোষ আছে? কারণ এর বেশি আর ভদ্রলোককে কিছু বলতে পারেই না গোপাল। ভদ্রলোক রেগেই চলে গেলেন। লেখা: সংগৃহীতছবি: সংগৃহীত

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।

কেএসকে/জিকেএস

Advertisement