অতিরিক্ত সেশন ও মাসিক বেতন আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত হতে পারেন রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেন। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) তদন্ত করে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। ফলে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মাউশি সূত্রে জানা গেছে।গত এক সপ্তাহ ধরে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবকরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টিউশন ফি আদায়ের অভিযোগে আন্দোলন করে আসছেন অভিভাবক ফোরাম। বর্ধিত টিউশন ফি প্রত্যাহারের দাবিতে আজ (রোববার) থেকে তারা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এছাড়া অধ্যক্ষ নিয়োগ, গভর্নিং বডির নির্বাচন, শিক্ষক নিয়োগ এবং কলেজের বিভিন্ন অনিয়মে বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রণালয় ও মাউশিতে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাউশি তদন্ত করে প্রমাণও পেয়েছেন বলে জানা গেছে।তদন্ত কমিটির সদস্য ও মাউশির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিষ্ঠানটির সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীর ভর্তি ফি ও বেতনসহ সকল শিক্ষা ব্যয় প্রায় ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রমাণ পেয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ফাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। তার জবাবের পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার চাইলে অধ্যক্ষের এমপিও বন্ধ এমনকি তাকে বরখাস্তও করতে পারেন।এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, তদন্ত কমিটির কাছে বিগত দিনের বেতন আদায়সহ সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করেছি। পে-স্কেল বৃদ্ধির কারণে শিক্ষার্থীদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে, তাও বলেছি।কারণ দর্শানো নোটিশ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো নোটিশ পাইনি। তবে পেলে অবশ্যই জবাব দেব।মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেন, অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত কমিটির ইতোমধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন আমার কাজে জমা দিয়েছে। এখন বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।এনএম/আরএস/আরআইপি
Advertisement