আন্তর্জাতিক

অর্থনৈতিক সংকটে পাকিস্তান

পাকিস্তানে বর্তমানের অর্থনৈতিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নতুন জোট সরকার এমন এক সময় ক্ষমতা গ্রহণ করলো যখন দেশটি উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আর্থিক-চলতি হিসাবের ঘাটতি ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ক্ষেত্রে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া পাকিস্তানে এই মুহূর্তে অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

Advertisement

পিএলএম-এন দলের রাজনীতিবিদ মিফতাহ ইসমাইল দুই অর্থ বছরের আর্থিক ও চলতি হিসাবের ঘাটতি উচ্চতর পর্যায়ে থাকার কথা জানিয়েছেন। তবে দেশটির প্রত্যেক নতুন সরকারই আগের সরকারের অর্থনৈতিক সংকটকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করে।

ইসমাইল দাবি করেছেন চলতি হিসাবের ঘাটতি ক্রমেই বাড়ছে। তবে তা দুই হাজার কোটি ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা নেই। দেশটির আর্থিক ঘাটতি বাড়ছে, যা আগের সরকারের অনুমান জিডিপির ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এদিকে বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণও নিম্নমুখী।

এরই মধ্যে দেশটির অর্থনীতি গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছে। পিটিআই সরকার যে অবস্থায় ক্ষমতাগ্রহণ করে বর্তমানে পরিস্থিতি তার চেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এদিকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আইএমএফ একশ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা বিলম্বিত করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। তাছাড়া চীনও বড় অংকের ঋণ ছাড় করতে সময় নিচ্ছে।

Advertisement

এমন পরিস্থিতিতে দেশটির বর্তমান সরকারকে সংকট মোকাবিলায় ও অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য ট্যাক্স ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। প্রভাবশালীসহ সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ঘাটতি কমাতে কিছু সরকারি কোম্পানিকে বেসরকারিকরণ করাও দেশটির জন্য অপরিহার্য।

তাছাড়া রপ্তানি বাড়ানো ও আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য সরকারের কিছু নীতিতেও পরিবর্তন আনা দরকার। যদিও নতুন জোট সরকার সংস্কারের জন্য খুব বেশি সময় পাবে না। তবে তারা টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবর্তন শুরু করতে পারে।

ডনের মতামতের আলোকে

এমএসএম/এএসএম

Advertisement