অর্থনীতি

দোকানে নেই ক্রেতা, বিক্রেতার মুখে নেই হাসি

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফাইসাল৷ করোনার ক্ষতি কাটিয়ে এবার ব্যবসা চাঙ্গা হবে, এমনটাই ছিল আশা৷ দোকানে তাই ৮০ লাখ টাকার নতুন কাপড় তুলেছেন৷ আশা ছিল পহেলা বৈশাখ আর ঈদ ঘিরে ভালো বিক্রি হবে৷

Advertisement

বিক্রি কেমন চলছে, দোকানে গিয়ে এ প্রশ্ন করতেই এই ব্যবসায়ীর উত্তর, ‘দেখছেনই তো, বসে আছি। খুবই বাজে অবস্থা।’

এই কাপড় ব্যবসায়ী আরও বলেন, এর চেয়ে ঈদের পরের বাজার ভালো৷ বিয়ে-সাদিকে কেন্দ্র করে ভালো বিক্রি হয়৷ এখন সেটাও নাই৷ ঈদ উপলক্ষে ৮০ লাখ টাকার নতুন কাপড় এনেছি। বিক্রি নেই বললেই চলে৷

ওই মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, অন্য দোকানগুলোরও একই অবস্থা৷ দোকানে ক্রেতা আসছেন, দেখে চলে যাচ্ছেন৷ কিনছেন খুব কম মানুষ। অধিকাংশ দোকানদার অলস সময় পার করছেন৷

Advertisement

কর্মীদের ব্যস্ততা নেই দোকানে

বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, নুরজাহান প্লাজা ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে ৷

ব্যবসায়ীরা বলছেন, যে আশা নিয়ে তারা নতুন পণ্য দোকানে এনেছিলেন, সে আশা পূরণ হয়নি৷

নিউমার্কেটে ব্যাগের দোকানে অসল সময় পার করতে দেখা যায় বিক্রয়কর্মী সাকিলকে৷

Advertisement

তিনি বলেন, ফুটওভার ব্রিজ বন্ধ, কাস্টমার আসতে পারে না৷ এখন প্রতিদিন সর্বোচ্চ বিশ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে ৷ রমজানের শেষের দিকে হয়তো বিক্রি বাড়তে পারে৷

প্রতিবারই রোজার প্রথম দিকে ভিড় দেখা যায় বাচ্চাদের কাপড়ের দোকানে। এবার সে বাজারেও ভাটা৷ নুরজাহান প্লাজার ‘কালেকশন প্লাস’র কর্ণধার রতন বলেন, অন্যবার শবে বরাতের পর থেকেই মার্কেটে ভিড় লেগে যায়৷ এবার তেমন ক্রেতা নেই, বসে বসে পত্রিকা পড়ি৷

এবার মার্কেটে আসা ক্রেতারা কম বাজেটে কাপড় কিনতে চাইছেন বলে জানান আরেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাকি৷

তিনি বলেন, এবার কাস্টমারের বাজেট কম৷ সবাই কম বাজেটে কাপড় কিনতে চায়৷ আজকে ১১ রমজান৷ এ সময়ে কাস্টমারে ধাক্কাধাক্কি লেগে যাওয়ার কথা। করোনার আগে এ সময়ে দিনে লাখ টাকা বিক্রি হতো। এবার হচ্ছে ২৫-৩০ হাজার৷

ঈদের কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে নিউ মার্কেট এলাকায় প্রতি বছরই অধিক সংখ্যক লোক সমাগম হয়৷ ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় নিউমার্কেটের এসব এলাকায় এবারও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে৷

এমএইচআর/এএসএম