পাইলসের যন্ত্রণায় অনেকেই কাতরান। এই রোগ আবার অনেকেই লুকিয়ে রাখেন। সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে এ সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলসের প্রধান কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার ভুলত্রুটি।
Advertisement
পাইলসের অপর নাম হেমারয়েডস। এক্ষেত্রে মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরে প্রদাহ হয়। ফলে মলত্যাগের সমঢ কষ্ট হয় রোগী। এরপর প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এমনকি মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে রক্ত।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা দেখা দিলে অনেকে মলত্যাগ করতেই ভয় পান। তবে দীর্ঘমেয়াদে এ সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এই চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া টোটকাও ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে কী করণীয় জেনে নিন।
Advertisement
>> পাইলসের সমস্যা দেখা দিলে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে দিনে ১৫ মিনিট বসে পড়ুন গরম পানির উপর। এভাবে দিনে কয়েকবার এই ভাপ নিতে পারেন।
>> ইসবগুলের ভুসি হতে পারে আপনার এই সমস্যা সমাধানের দাওয়াই। এই খাবার শরীরে ফাইবার বেশি পরিমাণে পৌঁছে দেয়। ফলে মল নরম হয় ও মলত্যাগের সময় তেমন কষ্ট হয় না।
>> অ্যালোভেরাও এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অ্যালোভেরায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ আছে। তবে সরাসরি পাইলস কমানোর সঙ্গে অ্যালোভেরার তেমন কোনো যোগ এখনো পাওয়া যায়নি।
>> পাইলসের ব্যথা কমাতে আইস প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। আসলে বরফ যে কোনো প্রদাহের বিরুদ্ধে দারুণ কার্যকরী। দিনে ১৫ মিনিটের জন্য আইস প্যাক লাগাতে পারেন।
Advertisement
>> ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে নিয়মিত। কারণ ফাইবারযুক্ত খাবার পায়খানা নরম করে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
এমনকি মলদ্বারের ব্যথা ও জ্বালাপোড়াও কমে। এছাড়া ফাইবারযুক্ত খাবার হজম ক্ষমতাও ভালো রাখে। তাই পাইলসের সমস্যায় ভুগলে দৈনিক বেশি করে সবজি খেতে হবে। সবজিতে অনেক ফাইবার থাকে।
সূত্র: হেলথলাইন
জেএমএস/এএসএম