আইন-আদালত

অবৈধ সম্পদ: ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ২ সাব রেজিস্ট্রারের সাক্ষ্য

কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় দুইজনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।

Advertisement

বুধবার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে সাক্ষ্য দেন দুই সাব রেজিস্ট্রার। এ নিয়ে ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন এই আদালত। আগামী ১৯ এপ্রিল সাক্ষীর জন্য পরবর্তী দিন ধার্য রাখা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার কক্সবাজার সদর সার্কেলের তৎকালীন সাব রেজিস্ট্রার শাহ আশরাফ উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম সদর সার্কেলের তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সদর সার্কেলের দুইজন সাব-রেজিস্ট্রার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। চট্টগ্রাম সদর সার্কেলে একটা দানপত্র ও বায়নানামা হয়েছে, কক্সবাজারেও একটি দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে। এসব দলিলে সার্টিফাইড কপি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই পর্যন্ত প্রদীপের বিরুদ্ধে মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকা ওসি প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেন বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরও ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে গোপন করা হয় বলে ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়। তদন্ত শেষে গত বছরের ২৬ জুলাই মো. রিয়াজ উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়। একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জ গঠন করেন আদালত।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

ইকবাল হোসেন/কেএসআর/জিকেএস

Advertisement