সময়টা ভালো যাচ্ছে না এসএ গেমসে দুইবারের স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তর। মাঝে করোনাক্রান্ত হয়েছিলেন। সে ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেননি এখনও। যে কারণে এশিয়ান গেমসের ট্রায়ালেও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি দেশসেরা এই ভারোত্তোলক।
Advertisement
জানুয়ারির ট্রায়ালে অংশ নেননি। তবে ফেব্রুয়ারিতে অনলাইন ট্রায়ালে ৬৪ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচ এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ১৭০ কেজি ওজন তুলে কমনওয়েলথ গেমসে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
এশিয়ান গেমসের প্রথম ট্রায়ালে পারফরম্যান্স খারাপ করে র্যাংকিয়ে নিচে নেমেছেন মাবিয়া। মঙ্গলবার হওয়া ট্রায়ালে তিনি দুই কেজি কম তুলে তিন নম্বর হয়েছেন। তাকে ছাপিয়ে এক ও দুইয়ে আছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মারজিয়া আক্তার ইকরা ও মনিরা কাজী। মাবিয়া স্ন্যাচ এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে তুলেছেন ১৬৮ কেজি।
অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশন ৩ জন ছেলে ও ৩ জন মেয়ে, কোচ ও অফিসিয়ালের নাম জমা দিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে। আগামী মাসের ২৭ ও ২৮ তারিখ এশিয়ান গেমসের চূড়ান্ত ট্রায়াল হবে।
Advertisement
বিওএ যদি মেয়েদের ৩ জন না পাঠায় ও চূড়ান্ত ট্রায়ালে মাবিয়া ভালো করতে না পারেন তাহলে তার এশিয়ান গেমসে যাওয়া হবে না। বিওএ যদি তিন জনকে পাঠায় তাহলে মে মাসের ট্রায়ালে যে ফলাফলই হোক এই তিনজনই যাবেন। ছেলেদের ক্ষেত্রেও তাই।
ছেলেদের ইভেন্টে যে তিনজন অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন- আশিকুর রহমান তাজ, শিমুল কান্তি সিংহ এবং জিয়ারুল ইসলাম। কোচ হিসেবে অ্যাক্রিডিটেশন পাবেন আনোয়ার হোসেন এবং অফিসিয়াল উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ।
ফল খারাপ করা প্রসঙ্গে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বলেছেন, ‘আমার পারফরম্যান্স একটু খারাপ হয়েছে। করোনার কারণে আমি ১৫ দিন পর অনুশীলন শুরু করেছি। আমার ৭৪ ভাগ ইনফেকশন হয়েছিল। যে কাজে দম বেশি লাগে সেই কাজ আমাকে করতে বারণ করেছেন ডাক্তার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারোত্তোলন তো দম আর শক্তির কাজ। করোনার ধকল থেকে এখনও পুরোপুরি রিকভার করতে পারিনি। এখন আমি এশিয়ান গেমসে যেতে পারবো কি না তা নির্ভর করছে মে মাসের ট্রায়ালের ওপর। আমাকে নিজের যোগ্যতা নিজেরই প্রমাণ করতে হবে।’
Advertisement
যদি এমন হয় যে, মে মাসের ট্রায়ালেও ভালো ফল হলো না এবং বিওএ তিনজনের চেয়ে কম পাঠালো এশিয়ান গেমসে। তখন কী হবে? এর উত্তরে মাবিয়া জানালেন, এই বয়সে এসে এখন তার নিজেকে প্রমাণ করার পালা। না পারলে হয়তো কোনো কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে পারেন এ স্বর্ণকন্যা।
তার ভাষ্য, ‘(বিওএ) যদি তিনজনকে না পাঠায় এবং আমি পারফরম্যান্স দিয়ে জায়গা করে নিতে না পারি তাহলে নিজেই বলবো- অনেক হয়েছে আর না। এখন নিজেকে প্রমাণ করার পালা। মে মাসের ট্রায়ালটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমসে মাবিয়া অনুশীলন করছেন কোচ ছাড়াই। তিনি নিজেই নিজের কোচ। কোনো কোচের অধীনে অনুশীলন না করা প্রসঙ্গে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বলেছেন, ‘দীর্ঘ ১২ বছরের অভিজ্ঞতায় আমার মনে হলো একাই অনুশীলন করি। এখন আমার নিজের অভিজ্ঞতা নিজের ওপর প্রয়োগ করা প্রয়োজন।’
আরআই/এসএএস/