জাতীয়

১৮ ট্রেনের শিডিউল বাতিল, টিকিটের টাকা ফেরত

রেলওয়ের রানিং স্টাফ (চালক-গার্ড) ও শ্রমিক-কর্মচারী অঘোষিত ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বুধবার (১৩ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৮টি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিডিউল বিপর্যয়ের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারগুলোতে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা। চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন রেলওয়ের কর্মকর্চারীরা।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মো. মাসুদ সারওয়ার জাগো নিউজকে বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দিনে ৭২টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায়। কিন্তু আজ ধর্মঘট থাকায় ভোর ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৮টি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এসব ট্রেনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে দেশের অন্যান্য স্টেশন থেকে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

তবে কী পরিমাণ যাত্রী টিকিটের টাকা ফেরত নিয়েছেন তার সঠিক তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

Advertisement

সকাল সাড়ে ৮টার ট্রেনে রাজশাহীগামী ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন তারেক সারওয়ার। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে তিনি যেতে পারেননি। এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটের টাকা ফেরত পেয়েছেন।

তিনি বলেন, এমনিতেই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না। এখন টিকিট পেয়েও আবার ফেরত দিয়েছি। বাড়ি যাবো, কিন্তু স্টেশনে এসে ভোগান্তির শিকার হলাম।

বেতন-ভাতা (মাইলেজ) সংক্রান্ত দাবি মেনে না নেওয়ায় সারাদেশে ধর্মঘট পালন করছেন ট্রেন চালকরা। বুধবার ভোর ৬টা থেকে তারা সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছেন।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে সকাল সাড়ে ৯টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে যান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তবে আন্দোলনকারীরা তার সঙ্গে দেখা করেননি। তারা রেলস্টেশনের লোকমোটিভে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান।

Advertisement

এরপর সাড়ে ১০টায় লোকোমোটিভে যান রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার। তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।

তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি চলবে বলে জানান রেলওয়ের রানিং স্টাফ (চালক-গার্ড) ও শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান।

এমএমএ/ইএ/জেআইএম