আন্তর্জাতিক

লকডাউনে পার্টি: জরিমানার মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে লকডাউন চলাকালে পার্টি করায় জরিমানার মুখে পড়তে চলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক। জরিমানা গুনতে হবে বরিসের স্ত্রী ক্যারি জনসনকেও। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, উপরোক্ত তিনজনের কাছে এরই মধ্যে জরিমানার নোটিশ পৌঁছে গেছে। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, গোটা যুক্তরাজ্যে কোভিড লকডাউন চলার সময় ডাউনিং স্ট্রিট ও হোয়াইট হলে বেআইনি পার্টি করা হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছিল গত বছর, তার তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই পার্টি ইস্যুতে অন্তত ৫০ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। সেদিন বরিস জনসন ও রিশি সুনাক তাদেরই সরকারের তৈরি আইন লঙ্ঘন করে জনসমাগমে যোগ দিয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

১৫ মে ২০২০, ডাউনিং স্ট্রিট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বরিস ও তার স্ত্রী। ছবি সংগৃহীত

ব্রিটিশ সরকারের মুখপাত্র অবশ্য বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে কোন ঘটনায় জরিমানা করা হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। তাদের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

২০১৯ সালে কনজারভেটিভ পার্টির ইতিহাসে ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় জয় নিয়ে ক্ষমতায় বসেন বরিস জনসন। তবে পরের বছরই লকডাউনের সময় একাধিকবার মদ্যপানের পার্টি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে পৃথকভাবে তদন্তে নামে ব্রিটিশ ক্যাবিনেট অফিস ও মেট্রোপলিটন পুলিশ।

লকডাউনে পার্টির বিষয়ে একেকবার একেক ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বরিস জনসন। প্রথমে তিনি বলেছিলেন, কোনো নিয়মভঙ্গ হয়নি। পরে এ ধরনের জনসমাগমে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

১৪ ডিসেম্বর ২০২০, কনজারভেটিভ পার্টির সদর দপ্তরে জনসমাগম। ছবি সংগৃহীত

২০২০ সালের ২০ মে লকডাউনের মধ্যে ‘যার মদ সে আনো’ পার্টিতে অংশ নেওয়ার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন তিনি। জনসনের দাবি, তিনি ভেবেছিলেন এটি কোনো কর্মশালা ছিল।

Advertisement

এরপর অভিযোগ ওঠে, একই বছরের জুন মাসে ডাউনিং স্ট্রিটের ক্যাবিনেট রুমে বর্তমান স্ত্রী ক্যারিকে নিয়ে প্রায় ৩০ জনের সঙ্গে নিজের জন্মদিনের পার্টি করেছিলেন বরিস জনসন। অথচ করোনার কারণে দেশটিতে সেই সময় সব ধরনের ইনডোর অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ছিল।

এসব পার্টিতে যোগ দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আইন লঙ্ঘন করেছেন অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন বিরোধী নেতারা।

কেএএ/এএসএম