রাজধানীর মতিঝিল থানার নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার সাত দিনের মাথায় জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) আদালতের আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
এদিন দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত ইশরাকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
ওইসময়ই তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানিয়েছেন, জামিন পাওয়ায় ইশরাকের কারামুক্তিতে আর বাধা নেই। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কারামুক্ত হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক এ মেয়র প্রার্থী।
Advertisement
এদিকে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর বিএনপি কারাফটকের সামনে ইশরাককে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নিতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। পরে নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে কারা এলাকা ত্যাগ করেন তিনি।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে পুলিশের করা এক মামলায় গত ৬ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা থেকে ইশরাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শ্রমিক দলের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
গ্রেফতারের পরই তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ইশরাকের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাকে ওইদিনই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) তামান্না ফারহার আদালত। এরপর তার জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১১ মে দিন ধার্য করেন আদালত। নির্ধারিত দিনে শুনানি শেষে বিচারক ইশরাক হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। উচ্চ আদালতের আদেশ মোতাবেক আত্মসমর্পণ না করায় ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। আগামী ২৬ মে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
Advertisement
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে আসামিরা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীত পাশে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পুড়িয়ে মারার উদ্দেশে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।
এ ঘটনায় বিএনপি নেতা ইশরাকসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আতাউর রহমান ভুইয়া।
কেএইচ/এমকেআর/এএসএম