ক্যাম্পাস

রাবিতে শিগগিরই চালু হচ্ছে স্মার্ট কার্ডের ব্যবহার

দেশে প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চালু হতে যাচ্ছে স্মার্ট আইডি কার্ডের ব্যবহার। আগামী দুই/তিন মাসের মধ্যেই এ কার্ডের ব্যবহার শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সম্মিলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা জানান, বিভিন্ন ভবনে একসেস কন্ট্রোল সিস্টেম (প্রবেশাধিকার) গেট বসানো হবে। আর এ কন্ট্রোলের সাহায্যে স্মার্ট আইডি কার্ড ব্যবহারকারীর যাতায়াতের বিষয়টি মনিটর করা যাবে। শুধুমাত্র স্মাট কার্ডধারীরাই এ গেট অতিক্রম করতে পারবেন। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ক্রাইম ঠেকানো যাবে বলেও জানান তিনি।ইতোমধ্যে প্রশাসন ভবনে একসেস কন্ট্রোল সিস্টেম গেট বসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮টি সেক্টরে এ কার্ডের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার, মেডিকেল সেন্টার ও জিমনেশিয়ামেও এ গেট বসানো হবে।এ কার্ডটি একসেস কন্ট্রোল ছাড়াও আবাসিক হল, ইন্টারনেট সার্ভিস, পেমেন্ট সিস্টেম, মেডিকেল কার্ড ও লাইব্রেরি কার্ড হিসেবেও ব্যবহার যাবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী-কর্মকর্তা যাতে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় এই জন্য তিনি বলেন, যারা এখনো কার্ড পায়নি তারা যেনো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আইডি কার্ডের জন্য যেনো ফরম পূরণ করেন।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. ছাদেকুল আরেফিন, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন, আইসিটি সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ সালে একটি পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রথম স্মার্ট আইডি কার্ডের ব্যবহার শুরু হয়। ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ৩৯০টি কার্ড বিতরণের মাধ্যমে প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়।পরে ২০১২ সালের মাঝামাঝিতে হেকএক প্রজেক্টের আওতায় ৮০০০ সাদা কার্ড ক্রয় করা হয় এবং প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রায় দেড় হাজার কার্ড প্রদান করা হয়। বাকি ৬১১২টি সাদা কার্ড স্মার্ট আইডি কার্ড প্রকল্পে হস্তান্তর করা হয়। সে সময় প্রকল্পের সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার অধ্যাপক রকীব আহমেদ স্থায়ীভাবে কার্ডটি চালু করার জন্য প্রতিটি কার্ডের জন্য ৪০০ টাকা ফি গ্রহণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব করেন। তখন থেকেই প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির সময় এককালীন ৪০০ টাকা গ্রহণ করা হতো।রাশেদ রিন্টু/এআরএ/পিআর

Advertisement