খেলাধুলা

দ্বিতীয় ইনিংসে মহা বিপর্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে চোখে-মুখে শর্ষে ফুল দেখতে শুরু করেছে এবি ডি ভিলিয়ার্স বাহিনী। ক্রিকেটে যে কখনও কখনও খারাপ সময় আসে, সেটাই এখন টের পাচ্ছে টেস্ট র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে থাকা দলটি। হাশিম আমলার নেতৃত্বে বেশ কিছুদিন বাজে সময় কাটানোর পর, তিনি নিজে থেকেই নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেন। দায়িত্ব দেয়া হলো এবি ডি ভিলিয়ার্সকে; কিন্তু তাতেও কোন লাভ হলো না। নেতৃত্বের পরিবর্তণে ভাগ্যও পরিবর্তণ হলো না প্রোটিয়াদের। ব্যাটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়েই পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।প্রথম ইনিংসে নিজেরা ৩১৩ রান করার পর ইংল্যান্ডকে বেধে ফেলেছিল ৩২৩ রানে। ১০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মহা বিপর্যয়ে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৬ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে প্রোটিয়ারা। ৬৭ রানে হারিয়েছে অষ্টম উইকেট। প্রোটিয়াদের এখনও টানছেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস। তবে, অন্যপ্রান্তে যেভাবে উইকেট পড়ছে, তাতে তিনি কতক্ষণ ধরে রাখতে পারবেন সেটাই এখন সবচেয়ে বড় বিষয়।ওয়ান্ডারার্সে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি। তবুও সবারই কিছু না কিছু অবদান ছিল ইনিংসটা গড়ার। যে কারণে ছোট ছোট ইনিংস সত্ত্বেও প্রোটিয়াদের রান গিয়ে দাঁড়ালো ৩১৩ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জো রুটের সেঞ্চুরি এবং বেন স্টোকসের হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়াল ৩২৩। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে মাত্র ১০ রান বেশি।১০ রানে পিছেয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে দু্ই ওপেনার ডিন এলগার আর স্টিয়ান ফন জিল গড়েন ২৩ রানের জুটি। পুরো ইনিংসে এটাই প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় জুটি। ১৫ রান করে আউট হন ডিন এলগার। সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত ইনিংসও এটা। ১১ রান করেন স্টিয়ান ফন জিল। তবে, শেষ দিকে এসে সবচেয়ে বড় ইনিংসটি খেলেন কাগিসো রাবাদা। সেই বড় ইনিংসটার পরিমাণ মাত্র ১৬ রান। বাকিরা ছিলেন শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে সামিল। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে স্টুয়ার্ট ব্রড একাই নেন ৫ উইকেট। বেন স্টোকস নেন ২টি এবং স্টিভেন ফিন ১টি।এ রিপোর্ট লেখার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৮ উইকেট হারিয়ে ৭০। উইকেটে ১১ রান নিয়ে রয়েছেন ফ্যফ ডু প্লেসিস এবং হার্ডাস ভিলজোয়েস ১ রানে। আর ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে মাত্র ৬০ রানে। আইএইচএস/পিআর

Advertisement