শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে যে কোনো সময়ই রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। যে কোনো সমস্যা নিয়েই চিকিৎসকের কাছে আপনি যান না কেন, প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসক অবশ্যই রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেন।
Advertisement
এ ছাড়া নিয়মিত রক্ত পরীক্ষায় সামগ্রিক সুস্থতার উপর নজর রাখা যায়।
এমনকি ডায়াবেটিসের রোগীরাও নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শর্করার পরিমাণ কতটুকু বেড়েছে বা কমেছে সেদিকে খেয়াল রাখেন। তবে যে কোনো রক্ত পরীক্ষার আগে অবশ্যই কয়েকটি কথা মাথায় রাখা জরুরি। না হলে রোগ নির্ণয়ে তারতম্য ঘটতে পারে। জেনে নিন কী কী?
>> রক্ত পরীক্ষা করতে যাওয়ার আগে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন কী খাবেন আর কী খাবেন না। কিছু কিছু পরীক্ষার আগে খালি পেটে থাকার নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা।
Advertisement
>> মনে রাখবেন, রক্ত পরীক্ষা করানোর অন্তত দুদিন আগ থেকে বাইরের ভাজাপোড়া, তেল-মসলা, চর্বিযুক্ত কিংবা অ্যালকোহল একেবারে গ্রহণ করবেন না।
>> রক্ত পরীক্ষাসহ বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের আগে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন।
>> চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে না দিলে সকাল ১০টার মধ্যে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। কারণ সকালের দিকে শরীরে হরমোন ও এনজাইমের ভারসাম্য ঠিক থাকে।
>> অন্য কোনো অসুস্থতার জন্য যদি কোনো ওষুধ খান, তাহলে রক্ত পরীক্ষা করাতে যাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই পরীক্ষা করানো উচিত।
Advertisement
>> ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেলেও তা রক্ত পরীক্ষা করাতে যাওয়ার আগে চিকিৎসককে জানান।
>> রক্ত পরীক্ষার আগে পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। অনেকেই রক্ত পরীক্ষার আগে পানি পান করেন না, যা একদমই ঠিক নয়। বরং প্রচুর পানি পান করলে রক্তের ঘনত্ব বাড়ে, ফলে শিরাগুলো আরও ফুলে ওঠে। এতে রক্ত নেওয়া সহজ হয় চিকিৎসকদের।
>> রক্ত পরীক্ষার আগে নির্দিষ্ট কিছু কাজে লিপ্ত না হওয়াই ভালো। যেমন-কঠোর ব্যায়াম, যৌন কার্যকলাপ, ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ। এগুলো আপনার রক্ত পরীক্ষার ফলাফলে তারতম্য ঘটাতে পারে।
>> রক্ত পরীক্ষার জন্য আপনি যে ল্যাবটি বেছে নিয়েছেন, সেখানে সব চিকিৎসা সরঞ্জাম আছে কি না তা নিশ্চিত করুন। এ ছাড়া নিশ্চিত করুন যে, ফ্লেবোটোমিস্টের যথাযথ প্রশিক্ষণ আছে এবং তিনি সার্টিফায়েড কি না।
সূত্র: দ্য ওয়েলনেস পিপল
জেএমএস/এসইউ/এমএস