নিয়ম-কানুন মেনে আইন অনুযায়ী গাড়ি চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স। ড্রাইভিং লাইসেন্স একবার তৈরি করে নিলে সারা জীবন বৈধভাবে গাড়ি চালানো যায় না। নির্দিষ্ট সময় পর এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে নিয়ম অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করে নিতে হবে। এ জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জানা থাকা ভালো।বিআরটিএ দুই রকম ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে থাকে। প্রফেশনাল ও নন-প্রফেশনাল। প্রফেশনাল লাইসেন্স নবায়ন করতে ১০৫০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। আর নন-প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য ১৭৫০ টাকা ফি হিসেবে জমা দিতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ-উত্তীর্ণ সময়ের পরিমাপের ওপর জরিমানা দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে। এ ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ-উত্তীর্ণ সময় এক বছরের বেশি হলে ২০০ টাকা। এক বছরের কম হলে ১০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
Advertisement
-স্ট্যাম্প সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি-পাসপোর্ট সাইজের এক কপি রঙিন ছবি-লাইসেন্সের দুটি ফটোকপি-লাইসেন্সের লেমিনেটিং কপিব্যাংকের মাধ্যমে ফি জমা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন:বর্তমানে ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার বাকি উপজেলার বাসিন্দাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য ফি জমা দিতে আর ডাকঘরে যেতে হচ্ছে না। ব্যাংকের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি জমা দেওয়া যাবে। এ বিষয়ে বিআরটিএর এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ফি জমা নেওয়ার ব্যাংক হচ্ছে মিরপুরের বিআরটিএর অফিসে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের বুথ; সাউথইস্ট ব্যাংকের ধানমন্ডি, সাত মসজিদ রোড, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, কারওয়ান বাজার, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, কাকরাইল, মৌচাক, গুলশান, উত্তরা, বনানী, মতিঝিলের (প্রধান শাখা) এবং করপোরেট যেকোনো শাখা। ১ ডিসেম্বর থেকে অবশ্য দেশের অন্যান্য জেলা ও মহানগর এলাকার সাউথইস্ট ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের যেকোনো শাখায় টাকা জমা দেওয়া যাবে। আবার ওই দিন থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীর বিআরটিএর অফিসের ব্র্যাক ব্যাংকের বুথ চালু করা হবে। সেগুলোয় কর ও ফি জমা দেওয়া যাবে।ব্যাংকের শাখা ও বুথের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি জমা দেওয়ার জন্য প্রথমবার গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে ফির অবস্থা জানতে হবে, তারপর টাকা জমা দিতে হবে। টাকা জমা দিতে গ্রাহকদের কোনো জমা বই পূরণ করতে হবে না। কেবল গাড়ি বা লাইসেন্সের মূল ডকুমেন্টস দেখালেই চলবে। টাকা জমা দেওয়ার পর বিআরটিএর যেকোনো অফিস থেকেই জানা যাবে তা আসলে জমা হয়েছে কি না।