আগের ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজ। এবার তিনি ভোগাচ্ছেন ব্যাট হাতে। এরই মধ্যে তুলে নিয়েছেন ঝড়ো ফিফটি। তবে আরেক প্রান্তের ব্যাটার উইয়ান মাল্ডারকে ফিরিয়ে খানিক স্বস্তি এনেছেন তাইজুল ইসলাম।
Advertisement
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১৪ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৮২ রান। ঝড়ো ফিফটি হাঁকিয়ে ৫৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন মহারাজ। বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল নিয়েছেন ৪ উইকেট। অন্য তিন উইকেট শিকার করেছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
দিনের শুরুতেই খালেদের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছিলেন কাইল ভেরেন। এরপর মাল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন মহারাজ। দুজন মিলে মাত্র ১৬.৪ ওভারে গড়েছেন ৮০ রানের জুটি। যা দক্ষিণ আফ্রিকাকে পৌঁছে দিয়েছে ৪০০ রানের দোরগোড়ায়।
বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে মাত্র ৫০ বলেই ৪টি চার ও ৩টি বিশাল ছয়ের মারে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন মহারাজ। তবে অপরপ্রান্ত ঠিক হাত খুলে খেলতে পারছিলেন না পেস বোলিং অলরাউন্ডার মাল্ডার।
Advertisement
শেষ পর্যন্ত তাইজুলের দারুণ এক ডেলিভারিতে সোজা বোল্ড হয়ে যান ৭৭ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে ৩৩ রান করা এই ডানহাতি ব্যাটার। মিডল স্ট্যাম্পে পিচ করা তাইজুলের সেই ডেলিভারি স্কয়ার টার্ন করে আঘাত হানে মাল্ডারের অফস্ট্যাম্পে। যা স্বস্তি ফেরায় বাংলাদেশ শিবিরে।
আগেরদিন ৫ উইকেটে করা ২৭৮ রান নিয়ে আজকের দিনের খেলা শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিনের সপ্তম ওভারে দলীয় ৩০০ পূরণ করে ফেলে তারা। তবে সেই ওভারেই ঠিক ৩০০ রানের মাথায় ভেরেনকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন খালেদ।
দুই অপরাজিত ব্যাটার কাইল ভেরেন ও উইয়ান মাল্ডারের আজকের দিনের শুরুটা ছিল সতর্ক-সাবধানী। তবে সুযোগ পেলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের চাকা সচল রাখছিলেন তারা। দিনের পঞ্চম ও ইনিংসের ৯৫তম ওভারের চতুর্থ বলে ঘটে উত্তাপ ছড়ানো ঘটনা।
খালেদের বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ করেছিলেন ভেরেন। সেটি ধরে সোজা থ্রো করে বসেন খালেদ। যা গিয়ে লাগে ভেরেনের গ্লাভসে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে দুঃখপ্রকাশের ভঙ্গি করেন খালেদ। কিন্তু তা মানতে রাজি ছিলেন না ভেরেন। তিনি বরং নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে আড়চোখে দেখতে থাকেন খালেদকে।
Advertisement
তখন ভেরেন ও খালেদের মধ্যে বাদানুবাদের উপক্রম হলে ইয়াসির আলি রাব্বি এসে সরিয়ে নেন দুজনকে। আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস তখন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হককে বুঝিয়ে দেন তার দলের খেলোয়াড়দের আরও সতর্ক রাখার ব্যাপারে।
এক ওভার পর খালেদের করা অফস্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে চার মেরে দলীয় ৩০০ পূরণ করেন ভেরেন। তবে এক বল পরই দারুণ এক ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ভেরেনকে বোকা বানিয়ে স্ট্যাম্প ছত্রখান করে দেন খালেদ। সাজঘরে ফেরার আগে ২২ রান করেছেন ভেরেন।
এসএএস/