পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিনা চাষে (জমি চাষ না করে) আলুর উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। কম খরচ, কম সার ও কম সেচ ব্যবহারে বেশি ফসল পাওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই পদ্ধতি। কৃষকদের এ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ।
Advertisement
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবার আমন ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে নরম কাদা মাটিতে কোনো ধরনের চাষ না দিয়েই মাটির মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্বে আলু রোপণ করা হয়। পরে আলু ক্ষেতে পরিত্যক্ত খড়কুটা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
এতে কম খরচে, কম সার ও পানি ব্যবহার করে অল্পদিনের মধ্যেই আলুর ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ পটুয়াখালীতে প্রথমবারের মতো কৃষকদেরকে এই পদ্ধতিতে আলু চাষে সহযোগিতা করছে। এতে ভালো ফলন পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।
কলপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক সোহরাব হোসেন বলেন, এমনভাবে আলু চাষ করা যায় এটা প্রথম দেখলাম। আমাদের অনেক জমি খালি পরে থাকে। এখন সেইসব জমিতেও আমরা এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করবো।
Advertisement
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম জানান, যেহেতু দক্ষিণ অঞ্চলে আমন ধান কিছুটা বিলম্বে কাটা হয় এবং পরবর্তী সময় জমি চাষ দেয়াসহ প্রস্তুত করার সময় থাকে না। সে কারণে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সহজেই আলু চাষ বাড়ানো সম্ভব।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি আলু ৭২ এবং ৭৮ জাত দুটি প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করেও ভালো ফলন দিতে পারে। এ কারণে লবণ ও তাপ সহনশীল এই জাতটি চাষে কৃষকদের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
অনান্য এলাকায় বেশি ফলন হলেও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেও বিনা চাষে এই আলু একর প্রতি ২০ থেকে ২৫ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া এই আলু দেখতেও অনেক সুন্দর হয়।
আব্দুস সালাম আরিফ/এমএমএফ/এমএস
Advertisement