ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ক্লাসে পড়া না পারায় ছাত্রকে দিয়ে ছাত্রীর গালে চড় মারানোর অভিযোগ উঠেছে কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
এর আগে ৪ এপ্রিল উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের ড. রওশন আলম কলেজে ঘটে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ৪ এপ্রিল সকালে ড. রওশন আলম কলেজের শিক্ষক সাদেকুর রহমান দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন। এই সংক্রান্ত বিষয়ে এক ছাত্রীকে প্রশ্ন করেন শিক্ষক সাদেকুর। ওই ছাত্রী ভুল উত্তর দেয়। এজন্য শিক্ষক সাদেকুর ওই ছাত্রীকে নিজের গালে চড় মারতে বলেন। পর পর তিনবার বলার পরও চড় না মারায় পাশে থাকা আরেক ছাত্রীকে ওই ছাত্রীর গালে চড় মারতে বলেন। কিন্তু পাশের ছাত্রীও চড় দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
পরে এক ছাত্রকে ওই ছাত্রীর গালে চড় দিতে বলেন শিক্ষক সাদেকুর রহমান। শিক্ষক সাদেকের নির্দেশে এ সময় ছাত্রীর গালে চড় মারে ওই ছাত্র।
Advertisement
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ঘটনা জানার পর আমরা কলেজে গিয়ে বিচার প্রার্থী হয়েছি। কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। এ সময় ওই শিক্ষকও দুঃখ প্রকাশ করেন।
অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক সাদেকুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রী উত্তর দিতে ভুল করেছিল। তার ভুল সংশোধন করে দিয়েছিলাম। এরপরও না পারায় তাকে নিজের গালে চড় মারতে বলেছিলাম। বার বার ভুল হওয়ায় ভেবেছিলাম এটা করলে মনে থাকবে। ওই ছেলে নিজে থেকেই অতিউৎসাহী হয়ে ছাত্রীর গালে আস্তে করে হাত দিয়েছে।
Advertisement
ড. রওশন আলম কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ওই ছাত্রীর বাবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এফএ/এমএস