লাইফস্টাইল

সঙ্গীকে খুশি করতে যে ৫ কাজ ভুলেও করবেন না নারীরা

সব নারীই চান তার ভালোবাসা বা পছন্দের মানুষকে সুখী করতে। কোনো অভিযোগ যাতে সঙ্গী না করে সেদিকে সর্বদা সচেতন থাকেন নারীরা। একটি সম্পর্কে ধরে রাখতে পুরুষের চেয়ে নারীর অবদান বেশি থাকে।

Advertisement

এমনকি পুরুষ সঙ্গীর কথা ভেবে অনেক নারীই প্রেমের নামে তাদের সুখ বিসর্জন দেন। তবে ৫টি কাজ যা কোনো নারীরই উচিত নয় তার পুরুষ সঙ্গীর জন্য করা। এতে ওই নারী পরবর্তী সময়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন।

>> যদি আপনার সঙ্গী কোনো আর্থিক সমস্যায় পড়েন, তাহলে আপনি আগ বাড়িয়ে কখনো তাকে ঝামেলা থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করবেন না।

একবার হয়তো আপনি তাকে সাহায্য করলেন, পরে এমন সমস্যা হলে তখনও কিন্তু সে আপনার কাছেই সাহায্য আশা করবে। আর তখন করতে না পারলে আপনার সঙ্গে তার মনোমালিন্যও দেখা দিতে পারে।

Advertisement

>> পুরুষ সঙ্গীকে কখনো দামি উপহার দেবেন না। তিনি আপনাকে যেমন উপহার দেবে, আপনারও উচিত তাকে তেমনিই উপহার দেওয়া। এতে আপনার পুরুষ সঙ্গী নিজেকে অপমানিত বোধ করবে না।

কারণ বারবারই যদি আপনি তাকে দামি উপহার দেন, আর তার যদি তেমন কিছু দেওয়ার সাধ্য না থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই পুরুষ সঙ্গীটি অপমানিত বোধ করবেন।

>> একজন বুদ্ধিমান নারীর উচিত তার সঙ্গীর মন খারাপ বা বিষণ্নতার সময় মন ভালো করা। কখনোই সঙ্গীর দুঃসময় তাকে কান্নার জন্য নিজের কাঁধ পেতে দেওয়া উচিত নয়। বরং সঙ্গীকে আরও উৎসাহ ও অনুপ্রাণীত করতে তাকে হাসি-খুশি রাখবেন।

>> অনেক নারীই ভালোবাসার মানুষের জন্য নিজের ব্যক্তিগত জীবনের হাসি-আনন্দ ও কর্মজীবন ছেড়ে দেন। যা একেবারেই ভুল কাজ।

Advertisement

আপনি ভালবাসার মানুষকে খুঁজে পেয়েছেন তার মানে এই নয় যে তার জন্য আপনি নিজের বন্ধুবান্ধব ও পেশা ছেড়ে দেবেন।

মনে রাখবেন, আপনি যদি ঘরকন্যার কাজ ও পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য ব্যক্তিগত আনন্দ বিসর্জন দেন তাহলে আপনার প্রিয়তমই একদিন সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।

তাই কখনো নিজের পেশা ও জীবনের আনন্দ উপভোগ করার বিষয়ে কম্প্রোমাইজ করবেন না।

>> একজন নারী অবশ্যই তার ভালোবাসার মানুষের কাছে আরও আকর্ষণীয় ও সুন্দরভাবে নিজে উপস্থাপন করতে পছন্দ করেন।

তবে সঙ্গী যদি প্রতিনয়তই আপনার চেহারা আমূল পরিবর্তন করার জন্য চাপ দেয় তবে তার এমন আবদার এড়িয়ে চলুন।

কারণ আপনাকে যে সত্যিকারের ভালোবাসবে সে আপনার সবকিছুই পছন্দ করবে।

সূত্র: ব্রাইট সাইড

জেএমএস/জিকেএস