‘আবারও আমাদের জীবন নলেনগুড়ের সৌরভে, স্বাদে ভরে উঠুক’ এ প্রত্যাশায় যশোরে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো খেজুর গুড় শিল্পমেলা। শনিবার সকালে যশোরের চারুপীঠ আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। দিনব্যাপি এ মেলায় ছিল খেজুর রস, গুড়, পাটালি, গুড়ের পিঠা-পায়েস মিষ্টান্নের প্রদর্শনী ও বিপণন, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বাউলগান ও আলোচনা অনুষ্ঠান।শনিবার সকালে খেজুর গুড় শিল্পমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান। যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মজিদ, কৃষিবিজ্ঞানী ড. সিরাজুল ইসলাম, স্থপতি কাজী আলিফ উদ্দিন ইকবাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আঞ্চলিক প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. সুনীল কুমার রায় ও ইছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মতলেব বিশ্বাস। স্বাগত বক্তব্য দেন চারুপীঠের অধ্যক্ষ মাহবুব জামাল শামীম। আয়োজকরা জানান, ‘যশোরের যশ, খেজুরের রস’ খ্যাত যশোরের প্রধানতম ঐতিহ্য খেজুর রস, গুড়, পাটালি। এক সময় বৃহত্তর যশোরের সব স্থানেই প্রচুর খেজুর গাছ ছিল। সেই গাছ উজাড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহ্যও বিলীনের পথে। ২০১২ সাল পর্যন্ত যশোরের বাজারে খাঁটি খেজুর গুড় পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু এরপর থেকেই যশোরের প্রধান ঐতিহ্য খেজুরের পাটালিসহ সব ধরনের গুড় পাটালির ঐতিহ্য ধ্বংস হতে চলেছে। তাই যশোরে ঐতিহ্য রক্ষায় চারুশিল্পের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান চারুপীঠ আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট ২০১৫ সাল থেকে যশোরে খেজুর গুড় শিল্পমেলার আয়োজন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও এ মেলা অনুষ্ঠিত হলো। এবারের মেলা প্রাঙ্গনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৮টি স্টল খেজুর রস, গুড়, পাটালি, গুড়ের পিঠা-পায়েস মিষ্টান্নের প্রদর্শনী ও বিপণন করে। এছাড়া শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও বাউলগানের মাধ্যমে যশোরের লোকজ ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। মিলন রহমান/এসএস/এমএস
Advertisement