দেশজুড়ে

বিদেশি মুসল্লিদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে : আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বলেছেন, ইজতেমা শেষে যে সকল বিদেশি মুসল্লি আরও ৪০ দিন বা তার চেয়েও বেশি সময় বাংলাদেশে অবস্থান করবেন তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সেই সঙ্গে তাদের নিরাপত্তাও দেয়া হবে। তিনি শনিবার দুপুরে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে তারা যে এলাকায় চিল্লায় যাবেন সে তালিকা যেন পুলিশকে দিয়ে যান। সেই এলাকায় পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দেবে এবং তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তারা যদি পল্লী এলাকায়ও যান তবুও আমাদের পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দেবে এবং পর্যবেক্ষণে রাখবে।আইজিপি বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিরা আসেন শান্তি, কল্যাণ ও মুসলিম উম্মার কল্যাণের জন্য। এখানে কোনো দুষ্কৃতিকারী কোনো ধরনের কিছু করবেন তা আমি বিশ্বাস করি না। তারা এমন সাহসও পাবেন না, সামর্থও নেই। তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই। জনগণ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ পছন্দ করেন না। ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।শহীদুল হক বলেন, ইজতেমার পুরো ময়দানকে নিরাপত্তা বাহিনীর ঘিরে রেখেছে। পুরো এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ইলেক্ট্রিক ডিভাইস থেকে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে সকল কৌশল নেয়া হয় আমাদের সব কৌশল নেয়া হয়েছে।সম্প্রতি পুলিশ কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা এবং সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তাকে পুলিশ কর্তৃক নির্যাতন প্রসঙ্গে বলেন, অতীতেও এ ধরনের বিছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ একটি বিরাট বাহিনী। নানান ধরনের লোক এখানে আছে। কারও মেজাজ গরম, কারো ঠাণ্ডা থাকে। পুলিশ একটি বিরাট আইন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। পুলিশ যদি ন্যূনতম অপরাধ করে তা আমরা আমলে নেই। তাদের প্রতি ন্যূনতম অনুকম্পা দেখানো হয় না।যত ঘটনাই ঘটেছে তাদের শাস্তি দেয়া হয়েছে। চার্জশিট দেয়া হয়েছে। সাজা হয়েছে। সাধারণ পাবলিক যে অপরাধ করে পুলিশ যদি সে অপরাধ করে তাহলে তার চেয়ে বেশি শাস্তি আমরা দেই। তিনি জানান, সম্প্রতি দুটি ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।এসময় পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (ট্রেনিং) মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মাহফুজুল হক নূরুজ্জামান, ঢাকা রেঞ্জে অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ) মোহাম্মদ আলী, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।                      মো. আমিনুল ইসলাম/এমজেড/পিআর

Advertisement