জাতীয়

পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ-টোল আদায় করবে চীন-কোরিয়ার কোম্পানি

পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার কাজ পেল কোরিয়া ও চীনের দুই কোম্পানি। কোম্পানি দু’টিকে পাঁচ বছর মেয়াদে ৬৯২ কোটি ৯২ লাখ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম।

পদ্মা সেতুর টোল নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, টোল আদায় হবে এটা জানি। কিন্তু টোলের পরিমাণ এখনো নির্ধারিত হয়নি। আমরা একটা কথা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই। পদ্মা সেতুতে আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি, সেটা পূর্ণমাত্রায় টোল বাবদ আদায় করবো। আমরা অন্য প্রজেক্টগুলো থেকেও কিন্তু টোল আদায় করছি, এখান (পদ্মা সেতু) থেকেও টোল আদায় হবে। শুধু টোল আদায় হবে না, আমরা প্রফিটও করবো।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এ প্রজেক্টের জন্য আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি, তার চেয়েও বেশি অর্জন করবো। বিশ্বের সব দেশ তাই করে। তবে টোলের হার এখনো ঠিক হয়নি। ঠিক হলে জানতে (গণমাধ্যম) পারবেন।

Advertisement

সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সেতু বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সার্ভিস প্রভাইডার/ অপারেটর হিসেবে যৌথভাবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) এবং চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে (এমবিইসি) পাঁচ বছর মেয়াদে ৬৯২ কোটি ৯২ লাখ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভায় অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলো হলো- সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘রাজাপুর-কাঁঠালিয়া-আমুয়া-বামনা-পাথরঘাটা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (ঝালকাঠি অংশ) (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডাব্লিউপি-৪ এর আওতায় চারটি সেতু নির্মাণের পূর্তকাজের ভেরিয়েশন বাবদ যৌথভাবে রানা বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড, মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং ইসলা। ব্রাদার্স কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে ১১ কোটি ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪২ টাকা ব্যয় বাড়ানোর ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘এলেঙ্গা-জামালপুর জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডাব্লিউপি-১ এর নির্মাণের পূর্তকাজের ভেরিয়েশন বাবদ ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩৫৮ টাকা ব্যয় বাড়ানোর ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আইএইচআর/এমএএইচ/জিকেএস

Advertisement