খেলাধুলা

বায়ো-বাবল মুক্ত হচ্ছে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট!

বাধ্যতামূলকভাবে বায়ো-বাবল সিস্টেমের মধ্যে থাকতে হবে- এই ধারণা এবার সম্ভবত ক্রিকেট থেকে অতীত হতে যাচ্ছে। করোনা মহামারি শুরুর পর এই প্রথম ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে বাধ্যতামূলক বায়ো-বাবল তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

Advertisement

আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে ভারতের দুটি টুর্নামেন্ট বায়ো-বাবল কিংবা বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন সিস্টেম ছাড়াই আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।

কুচবিহারের অনূর্ধ্ব-১৯ ট্রফির নকআউট পর্ব এবং সিনিয়র নারী টি-টোয়েন্টি ট্রফি বায়ো-বাবল ছাড়াই আয়োজন করা হবে। দুটি টুর্নামেন্টই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ১৮ এপ্রিল থেকে। তবে, পরিস্থিতি বোঝার জন্য নিয়মিত এই দুই টুর্নামেন্টের খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্টদের আরটি/পিসিআর টেস্ট করানো হবে।

ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া বিসিসিআই সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই দুই টুর্নামেন্টের খেলোয়াড়রাই বিসিসিআইর কাছে আবেদন জানিয়েছে, স্বাগতিক ভেন্যুতে পৌঁছানোর পর তারা তিনদিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন করতে চায় না। এমনকি বাধ্যতামূলক যে বায়ো-বাবল সিস্টেম রয়েছে, তার মধ্যেও থাকতে চায় না।

Advertisement

এরপরই পরীক্ষামূলকভাবে বিসিসিআই কোয়ারেন্টাইন কিংবা বায়ো-বাবল ছাড়া টুর্নামেন্ট দুটি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনার পর এটাই ভারতীয় ক্রিকেটে প্রথম বায়ো-বাবল ছাড়া টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত।

বিসিসিআই থেকে প্রকাশিত সূচি অনুসারে জানা যাচ্ছে, প্রতিটি দল স্বাগতিক ভেন্যুতে খেলার তিনদিন আগে পৌঁছাবে। তকে করোনা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে না। স্বাগতিক শহরে যাওয়ার পরদিনই অনুশীলন করতে নামতে পারবে। ২০২০ সালের এপ্রিলে ভারতে করোনা হানা দেয়ার পর থেকে এই প্রথম প্রকাশ্যে এমন কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

তবে বায়ো-বাবল কিংবা কোয়ারেন্টাইন না থাকলেও বিসিসিআই এই দুই টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সবাইকে করোনাকালীন সময়ের আচার-আচরণগুলো পালন করার জন্য উৎসাহিত করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে প্রতিটি দলকেও এ সম্পর্কে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছে।

বিসিসিআইর নির্ধারণ করা হোটেলেই অবস্থান করবে খেলোয়াড়রা এবং বাইরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যেন না মেশে তারা, এ জন্য উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিসিসিআই ভেন্যুও কমিয়ে দিচ্ছে। যাতে করে দলগুলোকে বেশি সফর করতে না হয়।

Advertisement

বিসিসিআইয়ের সূত্রটি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলছে, ‘যখন আইপিএলের ড্র করা কিংবা সূচি তৈরি করা হয়, তখনও করোনার তৃতীয় ঢেউ চলমান ছিল। বোর্ড কোনোভাবেই বহু-শহরে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে ইচ্ছুক নয়। তাতে অনেক পক্ষের তৈরি হয়। এই দুটি টুর্নামেন্ট পরীক্ষামূলকভাবে আয়োজন করা হচ্ছে। এখান থেকে আমরা একটা চিত্র পাবো যে, করোনা মহামারির এই পর্যায়ে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি।’

আইএইচএস/