প্রায় দুই বছর আগে মাত্র সাত শতক জমিতে লাউ চাষ শুরু করে ঝিনাইদহের কালিচরণপুর ইউনিয়নের বড়মান্দারবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সহিদুল ইসলাম। এখন তিনি স্বাবলম্বী। লাউ বিক্রি করে তিনি সন্তানের লেখা পড়া, সংসারের খরচ চালাচ্ছেন। কৃষক সহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমার বাড়ির পাশের একটি জমিতে জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করে লাউ চাষ শুরু করি। এতে আমার পরিবারে এসেছে শান্তি ফিরে এসেছে। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচও চালাতে পারছি। বর্তমানে আগের চেয়ে এখন আমার অবস্থান অনেক ভালো। এ বছর লাউ বিক্রি করেছি ২০ হাজার টাকার।তিনি আরও জানান, সামান্য পরিমাণ পুঁজি নিয়ে বাড়ির পাশে একটা মুদিখানার দোকান করলেও খুব ভালো মানের উপার্জন হতো না। তাই দোকানের পাশাপাশি চাষ শুরু করেন তিনি। সারা দিন দোকানে বেঁচা-বিক্রি শেষে বাজারে গিয়ে লাউ বিক্রি করেন তিনি। আর সেখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে সংসার।বড়মান্দারবাড়িয়া গ্রামের ব্যবসায়ী কাদের হাসান জাগো নিউজকে জানান, সহিদুল ইসলাম যে সবজি বা লাউ আবাদ করেন তাতে কোনো প্রকার ওষুধ প্রয়োগ হয় না। তাই তার সবজি বা লাউ সুস্বাদু ও স্বাস্থ্য সম্মত। কোনো কীটনাশক দেন না। শুধুমাত্র কেঁচো কম্পোস্ট সার ও অন্যান্য জৈব সার প্রয়োগ করে থাকেন। যে কারণে গ্রামের মানুষও এই সবজি কেনার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন।এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, কৃষক সহিদুল ইসলামকে পূর্বে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। তিনি যদি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ চাষ করেন তাহলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।এমজেড/এমএস
Advertisement