বুঝে পড়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯২ দশমিক ৫ পেয়ে প্রথমস্থান অধিকারী সুমাইয়া মোসলেম মীম।
Advertisement
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তার পরামর্শ, ‘যা পড়তে হবে বুঝে পড়তে হবে। মুখস্ত করে কোনো লাভ হয় না। দেখা যায় আজকে পড়ছি, আগামীকাল তা ভুলে যাচ্ছি। কিন্তু তা হলে তো হবে না। তাই যা পড়তে হবে তা বুঝেই পড়তে হবে।’
ভালো চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হতে চান বলে জানান মীম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের দেশে একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে, ডাক্তাররা কসাই। সেই ধারণা থেকে সবাইকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।’
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী রোডে কোচিং সেন্টারে বসে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সুমাইয়া মীম।
Advertisement
এসময় তার পাশে ছিলেন বাবা মো. মোসলেম উদ্দিন সরদার। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মেয়ের ভালো ফলাফলে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন তিনি। মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী মীম। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে সে ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রথমস্থান অধিকার করে।’
মেয়ের এই সাফল্যের পেছনে তার মায়ের (খাদিজা খাতুন) অবদান সবচেয়ে বেশি বলে জানান মোসলেম উদ্দিন। রাতের পর রাত জেগে মেয়ের লেখাপড়ার দিকে খেয়াল রাখত সে।
২০১৯ সালে যশোর শিক্ষাবোর্ডের ডুমুরিয়া গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন মেডিকেলে প্রথমস্থান অধিকারী সুমাইয়া মীম। ২০২১ সালে সরকারি এম এম সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। দুই পরীক্ষায়ই জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। খুলনার মৌলভীপাড়ায় বাউন্ডারি রোডের ১৪/টিবি এলাকায় পরিবারের সঙ্গেই বসবাস করেন মীম।
এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এক লাখ ৩৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ৪০ (১০০ নম্বরের মধ্যে) কিংবা তার চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৩৩৯ জন। পাসের হার ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।
Advertisement
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন কোটাসহ আসন রয়েছে চার হাজার ৩৫০টি। এবার সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন এক হাজার ৮৮৫ জন ছাত্র। সরকারি মেডিকেলে চান্সপ্রাপ্ত ছাত্রীর সংখ্যা দুই হাজার ৩৪৫ জন।
আলমগীর হান্নান/এসআর/এএসএম