ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বুধবার যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিজিএমইএ ভবনের সভাকক্ষে শুক্রবার বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সিদ্দিকুর বলেন, টিআইবি সত্যের অপলাপ এবং দুরভিসন্ধিমুলক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ প্রদর্শন করেছে। তারা এ সাহস কোথা থেকে পেলো তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে অনুরোধ জানান।তিনি আরো বলেন, ২০১৩ সালের তাজরীন ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সৃষ্ট ভাবমূর্তির সংকট কাটিয়ে দেশ যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে টার্গেটের চেয়ে বেশি রফতানি করেছে তখন এ ধরনের রিপোর্ট আশা করিনি। এটি শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে বলে মনে করি। এই প্রতিবেদনে দেশের পোশাকখাতসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক মানের থার্ড পার্টি অডিটরসহ বিশ্বমানের স্টেকহোল্ডারদের ইন্টিগ্রিটি প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই প্রতিবেদন তৈরিতে টিআিইবি তৈরি পোশাকখাতের সব স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছে বলে দাবি করলেও তাদের এ দাবি মিথ্যা। প্রতিবেদন তৈরিতে কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি তারা।তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও ন্যাপের আওতায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে কিভাবে কাজ করছি।আগামী ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় সাসটেইনেবিলিটি কম্প্যাক্টের দ্বিতীয় রিভিউ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরকম একটি স্পর্শকাতর সময়ে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ কখনোই শিল্প, দেশ ও মানবতার জন্য সহায়ক নয়। এ প্রতিবেদনে দেশের পোশাকখাতসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক মানের থার্ড পার্টি অডিটরসহ বিশ্বমানের স্টেকহোল্ডারদের ইন্টিগ্রিটি প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।তিনি বলেন, আমাদের জানা মতে টিআইবি গবেষণার জন্য বিদেশ থেকে অর্থ পায়। এই অর্থ তারা গবেষণার কাজে ব্যবহার করছেন নাকি শিল্পকে অশান্ত করা অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিপ্রায় নিয়ে কাজ করছেন।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজেএমইএ’র সহসভাপতি নাসির উদ্দীন আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকরা।এসআই/এএইচ/এমএস
Advertisement