আন্তর্জাতিক

কারফিউ ভেঙে শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

চলমান অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে সামাজিকমাধ্যম বন্ধের পাশাপাশি কারফিউ জারি করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। তবে এসব বিধিনিষেধ ভেঙে দেশটির প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী কলম্বোতে বিক্ষোভ শুরু করেছে নাগরিকরা। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

জানা গেছে, রোববার কারফিউ অমান্য করে বিরোধী সামাগি জনা বালাওয়েগয়া (এসজেবি) জোটের কয়েক ডজন রাজনীতিবিদ ও এর সমর্থকরা কলম্বোর স্বাধীনতা স্কোয়ারের কাছে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় তারা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। অন্য একটি বিরোধী জোটের সদস্যরাও রাজধানীর বাইরে মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ঘাটতি ও লোডশেডিংয়ের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

কলম্বোর প্রাণকেন্দ্রেই স্বাধীনতা স্কয়ার অবস্থিত। এসয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দেয়। তবে বিরোধী নেতা সাজিত প্রেমাদাসা মিছিল চালিয়ে যেতে দেওয়ার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মানুষ বাঁচতে পারছে না। এটা একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ। এসময় তিনি কারফিউর প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মানুষের ক্ষোভ থেকে রাজাপাকসেকে বাঁচাতেই এ কারফিউ জারি করা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সময় শনিবার (২ এপ্রিল) দেশটির সরকার নির্দেশ দেয় ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ রাখার। শ্রীলঙ্কা সরকার বলছে যে, ভুল তথ্য ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে চলছে ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় শুরু হওয়া কারফিউ চলবে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় কারফিউ জারি করে দেশটির সরকার।

এমএসএম/এএসএম

Advertisement